হেফাজত নেতাদের মুক্তি নিয়ে যা বললেন মান্না

হেফাজতে ইসলামের গ্রেফতার নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। একই সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ঘিরে দেশে যে অরাজকতা, রক্তপাত হয়েছে, তার দায় সরকার, ক্ষমতাসীন দল ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাকিব আনোয়ার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সরকারি দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা হেফাজতের কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মুসুল্লিদের ওপর হামলা করে প্রথমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে তা স্পষ্ট দেখা গেছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে যে অরাজকতা তৈরি হয়েছে এবং মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তার সম্পূর্ণ দায় সরকারকে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর দায়ের করা মামলা এবং সেই ২০১৩ সালের মামলাসহ বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা তথা দেশের আলেম সমাজের নেতাদের গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে, রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। সরকারি দল হেফাজতে ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে, তাদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তাদের পর্যুদস্ত করার কাজে লিপ্ত হয়েছে। আমি অবিলম্বে গ্রেফতার আলেম-ওলামাদের মুক্তি দাবি করছি।’

করোনা মোকাবিলায় সরকারের উদাসীনতার অভিযোগ করে মান্না বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, হাসপাতালে অক্সিজেন, আইসিইউ বেড নিশ্চিত করা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুই বেলা খাবার নিশ্চিত করা এখন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে মামলা, হামলা,

রিমান্ড, অত্যাচার, নির্যাতনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে তারা। দেশের সাধারণ জনগণ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তা মেনে নেবে না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ প্রতিবাদী হয়ে উঠছে। অচিরেই গণজোয়ার তৈরি হবে এবং সেই জোয়ারে অবৈধ ক্ষমতাসীনরা ভেসে যাবে।’