মোবাইল-টাকা চুরি করেন মামুনুল-তার ভাইসহ আসামিরা: পুলিশ

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক ও তার ভাই মুহতামিম মাহফুজুল হকের নির্দেশে জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসার ৭০-৮০ জন ছাত্র মামলার বা;দীসহ অন্যান্যদের মসজিদ থেকে বের করে দেয়।এসময় বাদীকে মা;রধ;র করে বা;দীর সঙ্গে থাকা একটি স্যামসাং মোবাইল, নগদ সাত হাজার টাকা, ২০০ ডলার, ব্র্যাক ব্যাংকের একটি ডেবিট কার্ড ও একটি মানিব্যাগ চু;রি করে নিয়ে যান আ;সা;মিরা। বাদীকে পুনরায় মসজিদে প্রবেশ করলে হ;;ত্যা করবে বলে হু;;ম;কি দেন তারা।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) মামুনুল হককে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নসাজেদুল হক রি;মা;ন্ড আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেন। আবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৬ মার্চ মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ এলাকায় সাত গম্বুজ মসজিদে রাত সাড়ে ৮টায় আসামি মাওলানা মামুনুল হক ও তার ভাই মুহতামিম মাহফুজুল হকের নির্দেশে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার ছাত্র আ;সা;মি ওমর এবং ওসমান বা;দী ও তার সঙ্গে থাকা অন্যদের মসজিদে আমল করতে নি;ষে;ধ করেন। তাদের ধর্মীয় কাজে আ;ঘা;ত করে ও মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন আ;সা;মিরা।

বাদী প্র;তিবা;দ করলে মামুনুল হক ও তার ভাই মাহফুজুল হকের নির্দেশে মাদরাসার আরও ৭০-৮০ জন ছাত্র বের হয়ে বাদীকে এ;লো;পাতা;ড়ি মা;রধ;র করে গু;রুত;র জ;;খম করে। আ;সা;মি ওমর ও ওসমান তাদের হাতের লা;ঠি দিয়ে বাদীকে এ;লোপা;তাড়ি আ;ঘা;ত করে। আ;সা;মিদের লা;ঠির আ;ঘা;তে গু;রু;তর জ;;খ;ম হয়ে মসজিদের ভেতরে শুয়ে পড়েন বাদী।

এরপর আ;সা;মিরা বা;দীর কাছে থাকা একটি স্যামসাং মোবাইল, নগদ সাত হাজার টাকা, ২০০ ডলার ও ব্র্যাক ব্যাংকের একটি ডেবিট কার্ডসহ বাদীর একটি মানিব্যাগ নিয়ে যায়। বাদীকে পুনরায় মসজিদে প্রবেশ করলে হ;;ত্যা করবে বলে হু;;ম;কি দেয় আ;সা;মিরা।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, আ;সা;মির (মামুনুল হক) বি;রু;দ্ধে মা;মলায় জ;ড়িত থাকার সাক্ষ্যপ্রমাণ প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়। আ;সা;মি ধর্মীয় অনুভূতিতে আ;ঘা;ত করে রাষ্ট্রবি;রো;ধী বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে ধর্মভীরু মুসলমান ও মাদরাসার ছাত্রদের উ;স্কা;নি দেয়। আ;সা;মির বি;রু;দ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

আ;সা;মি মামলার ঘটনার সঙ্গে জ;ড়িত ও অন্যান্য আ;সা;মিদের চেনেন। তাকে জি;জ্ঞাসাবাদে মামলার ঘট;নায় জ;ড়িত অপর আ;সা;মিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ ও তাদের গ্রেফতারসহ চোরাই মাল উদ্ধা;র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মামলার সু;ষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে এবং অপর আ;সা;মিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে আ;সা;মি মামুনুল হকের সাত দিনের রি;মা;ন্ডে নেয়া প্রয়োজন।

এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৯ মিনিটে মামুনুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে আদালতের হাজ;ত খানায় রাখা হয়। সেখান থেকে এজলাসে নেয়া হয়। পরে শুনানি শেষে বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটের দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী সাত দিনের রি;মা;ন্ড ম;ঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মা;রধ;র, হ;;ত্যার উদ্দেশ্যে আ;ঘা;তে গু;রু;তর জ;;খ;ম, চুরি, হু;;ম;কি ও ধর্মীয় কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলযোগের অভি;যোগ এনে স্থানীয় এক ব্যক্তি মোহাম্মদপুর থানায় মামুনুলের বি;রু;দ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন। রোববার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি আ;ইনশৃ;ঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নজ;রদারিতে ছিলেন।