মায়ের জন্য একটি আইসিইউ বেড জো;গাড়ে ছেলের আ;কু;তি। যদি নিজের জীবনের বিনিময়েও মাকে বাঁ;চা;নো যায়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মাকে বাঁ;চানো যায়নি। আইসিইউ বেডের জন্য অপেক্ষায় বহু মানুষ। কেউ মা;;রা গেলে অথবা সুস্থ হয়ে রিলিজ পেলে একটি সিট মিলছে। কি নি;ষ্ঠু;র অপেক্ষা! অ;ক্সিজেন সি;লিন্ডার নিজের শরীরের বেঁ;ধে মোটরসাইকেলে করে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন ছেলে। বরিশালের এমন একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আহা কি সময়!
শুরুটা এক বছরের বেশি সময় আগে। অদৃশ্য এক ভাইরাস। পুরো পৃথিবীটাই ওল;টপাল;ট করে দিয়েছে। মৃ;;ত্যুর স্কোর বোর্ড। প্রতিদিন এই সংখ্যা বড় হচ্ছে। বিশ্বে মৃ;;ত্যুর সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। শ;নাক্ত হয়েছেন ১৪ কোটির বেশি রো;গী। বাংলাদেশেও মৃ;;ত্যু ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না। এটি কেবল অফিসিয়াল সংখ্যা মাত্র।
বাস্তবে এ সংখ্যা আরো বেশি। গত দুদিনে প্রতিদিনই একশ’র বেশি মানুষ মা;;রা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা আরো বাড়বে। সরকারের রো;গত;ত্ত্ব, রো;গনিয়;ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, করোনার তী;ব্র;তা বে;ড়েছে। আ;ক্রান্ত রো;গীরা খুব দ্রুত মৃ;;ত্যুব;রণ করছে।
২৮শে জানুয়ারি থেকে ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত দেখা যায়, রো;গীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ৪৪%। মৃ;;তদের মধ্যে ৫২% উপসর্গ শুরুর ৫ দিনের মধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো। মৃ;;ত রো;গীদের মধ্যে ৪৮% হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৫ দিনের মধ্যে মা;;রা গেছেন। ১৬% মৃ;;ত্যুব;রণ করেন ভর্তির ৫-১০ দিনের মধ্যে। গত বছরের চেয়ে নারীরা বেশি মৃ;;ত্যুবরণ করছে। এছাড়া এই সময়ে দেশে মান;সিক সম;স্যাও বেড়ে যাচ্ছে।
টিকা নিয়ে আশা জে;গেছিল একসময়। কিন্তু এখন তৈরি হয়েছে নানা সং;শ;য়। মুক্তবাজার অর্থনীতি আর স্বার্থপর পৃথিবীতে প্রথম টিকার অগ্রাধিকার পাচ্ছে উন্নত দুনিয়ার মানুষেরাই। ধনী ও প্রভাবশালী দেশগুলোর জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ টিকা নিতে পা;রলেও অনেক গরিব দেশ এখনো টিকা পায়ইনি। বাংলাদেশ টিকা নিয়ে আশা জাগানিয়া শুরু করলেও এখন তা হোঁ;চট খে;য়ে;ছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট প্রতিশ্রুত টিকা সর;বরাহ করছে না।
মূলত ভারতীয় সরকারের নিষে;ধাজ্ঞার কারণেই সেরাম বিভিন্ন দেশকে সময়মতো টিকা পৌঁছাতে পারছে না। তবে টিকা দিয়েও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না করোনার ব্যাপারে। কারণ টিকা কতদিন কাজ করবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তারচেয়ে বড় ব্যাপার চ;রিত্র বদল করা করোনার ক্ষেত্রে টিকা কতটা কাজ করবে তাও বুঝা যাচ্ছে না।
এই অনিশ্চিত অবস্থায় দেশে চলছে লকডাউন। জীবনের পাশাপাশি বহ মানুষ ল;ড়;ছে জী;বি;কার জন্য। অসম সমাজে বেঁচে থাকাই যেন দায়। আবার স্বার্থপ;রতা আর যেকারণেই হোক না কেন একজনের দু;র্ভো;গ এখন অন্যকে অতোটা স্পর্শ করে না।
স্বাস্থ্যকর্মী ইশান জাহান গণমাধ্যমকে বলছিলেন, আসলে এটা খুবই দুঃ;খজন;ক যে সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারছেন না যে পরিস্থিতি কতটা ভ;য়া;ন;ক। যখন একজন রো;গী নিয়ে হাসপাতালে যান তখন সেই ব্যক্তিটাই বুঝেন যে, হাসপাতালের একটা সিট পাওয়ার জন্য, একটা অক্সিজেনের সিলি;ন্ডারের জন্য, একটা আইসিইউ বেডের জন্য কী পরিমাণ হা;হাকা;র চলছে।
এই হা;হা;কার ও অ;সহা;য় সময়ে আসলে বাঁচার চেষ্টা ছাড়া আর কিইবা করার আছে। চারদিকে ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি। সুত্র: মানবজমিন অনলাইন