রোজা রেখে চার তলায় না উঠায় ফুডপান্ডার রাই’ডারকে মা’রধর

রোজা থেকে খাবার নিয়ে চার তলায় না উঠায় সাভারে আব্দুল লতিফ নামে ফুডপান্ডার এক রাইডারকে মা’রধর করেছেন স্থানীয় একজন। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ।এর আগে, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে সাভার পৌরসভার বনপুকুরের মালঞ্চ আবাসিক এলাকায় এ মা’রধ’রের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় পাশের ভবনে থাকা এক ব্যক্তি ভিডিওটি করেন। পরবর্তীতে সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়ালে ধীরে ধীরে ভাইরাল হতে শুরু করে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মা’রধ’র করা সেই ব্যক্তির নাম সাইদুর রহমান সুজন। তার বনপুকুরের মালঞ্চ আবাসিক এলাকায় একটি ইলেকট্রনিকস দোকান রয়েছে।ভাইরাল হওয়া ৩ মিনিট ৮ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি সাইকেল নিয়ে ফুডপান্ডার রাইডার লতিফ দাঁড়িয়ে আছে। সুজন নামে সেই ব্যক্তি গা’লিগা’লাজ করছে। একপর্যায়ে মা’রধ’র শুরু করেছেন। প্রথমে কয়েকটি থা’প্পড় মা’রার পর একটি নারী এসে লতিফকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পরক্ষণে কথায় কথায় আবার মা’রধ’র শুরু করেন৷ পরে সুজনের সাথে থাকা আরেক ব্যক্তি লতিফকে মা’রধ’র করে তা’ড়িয়ে দেন৷

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লতিফ বলেন, বুধবার প্রথম রোজার দিন সুজন নামে এক ব্যক্তি খাবারের অর্ডার দিয়েছেন। আমি খাবার নিয়ে গিয়েছি। তিনি চার তলা যেতে বলেছিলেন, আমি রোজা ছিলাম- তাই যেতে চাইনি। পরে এসে নানা গা’লিগা’লাজ করে আমাকে মা’রধ’র করেন। আমার এই বিষয়টি ফুডপান্ডা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে সাইদুর রহমান সুজন বলেন, আমি কাল ৫.১৫ মিনিটের দিকে একটি হালিমের অর্ডার দিয়েছিলাম। উনি আমার ভবনের সামনে এসে ফোন করেন। আমি তখন বলি, ভাই আমি একটু অসুস্থ আপনি খাবারটা একটু চার তলায় এসে দিয়ে যান। আমার পায়ে একটু অসুবিধা আছে, আমাকে একটু দিয়ে গেলে উপকার হবে। পরে সে বলে দেওয়া যাবে না। পরে আমি তাকে বলি, কোনোভাবে কি অর্ডার ক্যান্সেল করে দেওয়া যায় কিনা। তখন তিনি আমাকে বা’জেভাবে ব’কা দেয়। আমার কথাটা শুনে খুবই খারাপ লেগেছে। পরে আমি নিচে নেমে তাকে সরি বলতে বলি, সে বলেনি। এর জন্য রাগ হয় আমার। এই হলো ঘটনা।

আপনি কোন সংগঠন করেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কৌশলে ফোন কেটে দেন।এ বিষয়ে ফুডপান্ডার সাভার জোনের এক কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি নাম প্রকাশ করার না শর্তে বলেন, আসলে বিষয়টি আমাদের হেড অফিসকে জানানো হয়েছে। আমরা এখনো সাভার জোন থেকে কোন আইনি কার্যক্রমে যাইনি। হেড অফিস যা করবে তাই হবে।এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।