দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে অনলাইন পরীক্ষা পদ্ধতিকে বৈধতা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আলাদা দুটি কমিটি করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনলাইন পরীক্ষা পদ্ধতি মনিটরিং করে কমিটিকে বাস্তবসম্মত প্রস্তাবনামূলক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, অনলাইনে পরীক্ষা নিতে গত ২৪ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (মাউশি) সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা হয়। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শ্রেণি ও পাবলিক পরীক্ষা অনলাইনে আয়োজনের জন্য সুপারিশ করতে
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে একটি কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিভিন্ন পরীক্ষা অনলাইনে গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের জন্য আরেকটি কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগমকে।
কমিটি দেশে-বিদেশে অনলাইন পরীক্ষা গ্রহণের বর্তমান প্র্যাকটিসগুলো পর্যালোচনা করে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি রোড ম্যাপ প্রণয়ন করে আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপট করতে পারবে।
এ বিষয়ে মাউশি বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে দু”র্যো’গ’কা’লীন পরিস্থিতিতে অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে কীভাবে গ্রহণযোগ্য পরীক্ষা আয়োজন করা যায়, সে বিষয় নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে গঠিত দু্ই কমিটির কাছে বিভিন্ন পরীক্ষা অনলাইনে গ্রহণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। তাদের মতামত পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৭ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা- ২০১৮’-এর আওতায় গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কমিটির দ্বিতীয় সভায় অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং এটুআইকে যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (প্রশাসন ও অর্থ) সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর/সংস্থা, এটুআই ও বুয়েটের প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি করা হয়। ওই কমিটির সদস্যরা সভা করে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদন পর্যালোচনার জন্য গত ২৪ মার্চ সভা অনুষ্ঠিত হয়।