শুধুমাত্র স্বামীকে দেখানোর জন্য মেয়েদের সাজসজ্জার অনুমতি রয়েছেন। আর বাকি সব অবস্থায় নারী পর্দা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন মহান রাব্বুল আলামিন। রাসূল পাক (সা.) হাদিস দ্বারা প্রমাণিত, স্বামী, বাবা এবং আপন ভাইয়ের সামনে যাওয়া ইসলাম সমর্থন দিয়েছে। তাদের সামনে একটু আধটু সাজসজ্জায় কোনো বাধা নেই।
তবে সাজসজ্জা শুধুমাত্র স্বামীকে দেখানোর জন্যই প্রযোজ্য। তারপরও ইসলামে নারীর সাজের ব্যাপারে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ রয়েছে। যেমন:
মাথায় পরচুলা: নারীরা পরচুলা ব্যবহার করতে পারে, যদি তা সুতা, পশম, কাপড় বা এজাতীয় কিছু দ্বারা তৈরি করা হয় এবং চুলের সাদৃশ্য না হয়। আর যদি মানুষের চুল দ্বারা তৈরি করা হয় বা চুলের সাদৃশ্য হয়, তাহলে তা ব্যবহার করা হারাম। (আলমুগনি : ১/৯৪)
ভ্রু প্লাগ করা: সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উপায়ে ভ্রু চিকন করার যে প্রথা বর্তমানে প্রচলিত আছে, তা বৈধ নয়। (মুসলিম, হাদিস : ২১২৫)
পারফিউম ব্যবহার করা: সেন্ট, পারফিউম, বডি স্প্রে ইত্যাদিতে যদি কোনো ধরনের নাপাক বস্তু মিশ্রিত না থাকে, তাহলে তা ব্যবহার করা জায়েজ। মুসলিম নারীরা গৃহের মধ্যে অবশ্যই সুগন্ধি ব্যবহার করবে। (তুহফাতুল আহওয়াজি : ৮/৭১)
বাজনাওয়ালা নুপূর: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ঘণ্টি, বাজা, ঘুঙুর হলো, শয়তানের বাদ্যযন্ত্র। (সহিহ মুসলিম হাদিস : ২১১৪)
শরিরে ট্যাটু করা: হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, যে নারী পরচুলা লাগায়, লাগিয়ে দেয় আর লাগাতে বলে। এছাড়া যে নারী গায়ে উল্কি আঁকে তাদেরকে অভিশাপ দেন রাসূল (সা.)।
নখ বড় রাখা: হাত-পায়ের নখ বড় রাখা বিজাতীয়দের স্বভাব ও একটি ঘৃণিত কাজ। অনেক সময় নখের ভেতর ময়লা জমে খাবারের সময় পেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রতি সপ্তাহে হাত-পায়ের নখ কাটা সুন্নত। অন্তত দুই সপ্তাহে একবার কাটলেও চলবে। তবে ৪০ দিনের বেশি না কাটা অবস্থায় অতিবাহিত হলে গুনাহ হবে। (মুসলিম, হাদিস : ২৫৮)