ভ্যাকসিন গ্রহণে রক্ত ​​জমাট ৩০ জনের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু !

যুক্তরাজ্যের চিকিত্সা নিয়ন্ত্রক শনিবার বলেছে যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন গ্রহণের পরে রক্ত ​​জমাট বাঁধা ৩০ জনের মধ্যে সাতজন মারা গেছেন। রক্ত জমাট বাঁধার অভিযোগে এর আগে ইউরোপের বেশ কিছু দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিত করেছিল। এখন ব্রিটেনেও ভ্যাকসিন নিয়ে একইরকম ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।

ব্রিটেনের ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘২৪ মার্চ পর্যন্ত যে ৩০ জনের প্রতিবেদন (রক্ত জমাট বাঁধার) এসেছিল, দুঃখজনকভাবে এদের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।’

শুক্রবার নেদারল্যান্ডস সরকার ৬০ বছরের কম বয়সীদের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিত ঘোষণা করে। এর আগে জার্মানিও একই সিদ্ধান্ত নেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থাও (ইএমএ) অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনকে নিরাপদ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল। আগামী ৭ এপ্রিল ইএমএ থেকে এ সংক্রান্ত নতুন পরামর্শ আসতে পারে।

বুধবার ইএমএ জানায়, তারা মনে করে যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং বয়স, লিঙ্গ ও চিকিৎসার ইতিহাসের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা কোনো নির্দিষ্ট ঝুঁকি পায়নি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, ব্রিটেনের ১ কোটি ৮১ লাখ লোককে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেয়ার পর ৩০টি রক্ত জমাট বাঁধার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অথবা সাধারণ নাগরিকরা সরকারি ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত তথ্য জমা দিয়েছে।

৩০ জনের অধিকাংশের ক্ষেত্রেই সেরেব্রাল ভিনাস সাইনাস থ্রম্বোসিস হয়েছে, যা মস্তিস্কে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার এক বিরল রোগ। এছাড়া অন্যরা রক্ত জমাট বাঁধা ও প্লেটলেট কমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগেছেন।

ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়ে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো ঘটনা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে সংস্থাটি জানায়, ‘এই প্রতিবেদনগুলোর ওপরে আমাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা এখনো চলছে।’ গত মার্চে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে ৭৯ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে এবং রক্ত জমাট বাঁধার কোনো ঝুঁকি পাওয়া যায়নি।