সারাদিন রো’গী দেখে হ’ঠাৎ হাসপাতালে ভর্তি ডাক্তার, করো’না য় মৃ’ত্যু

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকি’ৎসকের মৃ’ত্যু। তিনি রামেকের সার্জা’রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। আবদুল হান্নান (৪৬) রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কে’ন্দ্রে (আইসিইউ) চিকি’ৎসাধীন ছিলেন। অন্যদিকে রাতে হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকি’ৎসাধীন অব’স্থায় নাহিদা বেগম (৪৫) নামে আরেক নারীর মৃ’ত্যু হয়। তার বাড়ি নওগাঁ সদরের চক এনায়েতপুর গ্রামে। গত ৪ মা’র্চ থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শনিবার রাত ১টা ৪৫ মিনিটে তার মৃ’ত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্র করো’না য় তার মৃ’ত্যুর বিষয়টি নি’শ্চিত করেছে।

আইসিইউ’র ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল চিকি’ৎসকের মৃ’ত্যুর বিষয়টি নি’শ্চিত ক’রেছেন। তিনি জা’নান, শনিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে ডা. আবদুল হান্নান মা’রা গেছেন। শুক্রবার রাত থেকে তিনি লাইফ সাপো’র্টে ছিলেন।

রামেকের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী জা’নান, গত মঙ্গলবার হ’ঠাৎ ডা. আবদুল হান্নানের শ্বা’সকষ্ট দেখা দেয় এবং তিনি অসু’স্থ হয়ে প’ড়েন। ওই দিন রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে সারাদিনই তিনি রো’গী দেখেছেন। কোন স’মস্যা ছিল না। হ’ঠাৎ অসু’স্থ হয়েই অবস্থা খা’রাপ পর্যায়ে চলে যায়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার ফু’সফুস ক্ষ’তিগ্রস্ত হয়েছে।

এর পরদিন নমুনা পরীক্ষা করে তার করো’না পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ডা. নওশাদ আলী আরও বলেন, উন্নত চিকিৎ’সার জন্য আম’রা এয়ার এম্বুলেন্সে ডা. হান্নানকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অবস্থা জটিল হওয়ায় এয়ারে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ডা. হান্নানকে গু’রুতর অব’স্থায় আইসিইউতেই চিকিৎ’সা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁ’চানো যায়নি।