সোহেল তাজের প্রোফাইলে জিয়াউর রহমানের ছবি

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি আপলোড করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে। যদিও পরবর্তীতে ছবিটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘কি এক হতভাগা দেশ, বিচিত্র দেশ, অকৃতজ্ঞ দেশ/জাতি, যে দেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও নিজের সঠিক ইতিহাস জানে না।’বুধবার বেলা ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে সোহেল তাজ লিখেন, “ইতিহাস আড়াল করা ইতিহাস বিকৃত করার শামিল” – সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

এছাড়াও মঙ্গলবার থেকে ‘ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলামের ৭১ এর স্মৃতি’ পর্ব আকারে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করছেন। যেখানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের ছবি দিচ্ছেন। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, জিয়াউর রহমানসহ আরও অনেকের ছবি রয়েছে।

আলাদা করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি আপলোড ও ফেইসবুকে দেয়া তাঁর বিভিন্ন পোস্ট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।বিষয়টিকে পজেটিভভাবে দেখছেন এমডি ওমর ফারুক। তিনি লিখেন, ‘রাজনীতিতে এমনটাই হওয়ার দরকার।’

মুহাম্মদ জসিম লিখেন, ‘যাদের ভিতরে প্রতিহিংসা নাই তারাই জিয়াউর রহমান এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তর্ক করে না,স্যালুট মিস্টার সোহেল তাজ স্যার।’গভীর শ্রদ্ধা জানান আলতাফ হোসেন নামে একজন ফেইসবুক ব্যবহারকারী।সাজেদুর রহমান চৌধুরী লিখেন, ‘ধন্যবাদ তাজ ভাইকে। ভাল নেতার ছেলে ভালই হয়।’

‘এই ছবিটা যে উদ্দেশ্য পোস্ট করেছেন সেটা পরিষ্কার করা উচিত ছিল। কারণ, কিছু …দের গভীর উপলব্ধি নাই!’ – নুর মোহাম্মদের মন্তব্য।উদ্বেগ প্রকাশ করে মাহমুদুল হাসান শিবলী ভূঁইয়া লিখেন, ‘স্যার,আপনাকে কবে রাজাকার বলে ঘোষণা দেয় আওয়ামীলীগ সে অপেক্ষায় আছি।’

মেহেদী খানের প্রশ্ন, ‘ভাই আপনি, ইদানীং এগুলো কি শেয়ার করেন? কারে শেয়ার করছেন?’
মুঈদ উর রহমান জনি লিখেন, ‘কিছুই বুঝলাম না!’