যেসব কারনে নায়িকা ভাগ্য ভালো নয় দীঘির

শি’শুশিল্পী হিসেবে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বলতে গেলে রেকর্ড গড়েছেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ৩০টির মতো ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করে রীতিমতো জনপ্রিয়তার শীর্ষে

উ’ঠেছি’লেন তিনি। সেই দীঘির নায়িকা-ভাগ্য মোটেই ভালো নয় বলেই মন্তব্য তার সোশ্যাল মিডিয়ার ভ’ক্তদের। গত ১২ মার্চ মু’ক্তি পায় নায়িকা হিসেবে দীঘির প্রথম ছবি ‘তুমি আছো তুমি নেই’। তার আগে প্রকাশ পায় এটির ট্রেলার। যেটা দেখে ব্যাপক সমালোচনায় মেতে ওঠেন দর্শক।

‘ট্রেলার তারও ভালো লাগেনি, ছবিটি চলবে না’ জাতীয় মন্তব্য করে পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর রো’ষের মুখে পড়েন দীঘিও। যদিও শেষ পর্যন্ত দীঘির কথাই স’ত্যি হয়েছে। চলেনি ‘তুমি আছো তুমি নেই’।

অর্থাৎ, অভিষেকেই ব্যর্থতার স্বাদ পেতে হলো নায়িকা দীঘিকে। এবার তার আরেক ছবি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ নিয়েও শুরু হয়েছে নানান কাহিনি। গত ১৪ মার্চ ছবিটি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পায়। কথা ছিল, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ মু’ক্তি পাবে এই ছবি। কিন্তু ছাড়পত্র পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই স্থগিত করা হয়েছে সেই ছাড়পত্র।

এর মানে হচ্ছে, আগামী ২৬ মার্চ দীঘির ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ মু’ক্তি পাবে কি না, সে বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল। কিন্তু কী কারণে স্থগিত হলো ছবিটির ছাড়পত্র? এ প্রস’ঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের

ভাইস চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ছবিটি যেহেতু জাতির জনককে নিয়ে বানানো, তাই অনেক স’ত’র্কতার স’ঙ্গে ছাড়তে হবে। শুরুতে সেন্সর পেলেও বোর্ডের কয়েকজন সদস্য মনে করছেন ছবিটি আবারও দেখা প্রয়োজন। তাই আমরা পুনরায় এটি দেখব। তারপর সিদ্ধান্ত দেব। জ’রুরিভিত্তিতে ছবিটি বোর্ড সদস্যরা মিলে দেখবেন।’

‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’-এর কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক শামীম আহমেদ রনি। এটি প্রযোজনা করেছেন

শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান। ছবিটি পরিচালনাও করেছেন তিনি। তবে ছবিটির ছাড়পত্র স্থগিত হওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

কী রয়েছে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্রে? এখানে তুলে ধ’রা হয়েছে, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া শেখ মুজিবুর রহমান কীভাবে বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠলেন।এতে জাতির পিতার চরিত্রে দেখা যাবে প্রযোজক সেলিম খানের ছেলে শান্ত খানকে। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন দীঘি। আরও আছেন জয়ন্ত

চট্টোপাধ্যায়, জিয়াউল হাসান কিসলু ও শিবা শানু প্রমুখ। গত বছরের শেষের দিকে চলচ্চিত্রে দীঘির রাজকীয় প্রত্যা’বর্তন ঘ’টে দীঘির। দেশের স্বনামধন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার ছয়টি সিনেমায় কাজ করার ঘোষণা দেন। পরপর আরো কয়েকটি সিনেমায় কাজের কথাও শোনা যায়। এরমধ্যে শাপলা মিডিয়ার একটি সিনেমার কাজ শে’ষ করেছেন দীঘি।

কিন্তু ঘোষণার ছয় মাস না পেরুতেই শোনা যাচ্ছে, শাপলা মিডিয়ার বাকি সিনেমাগুলো থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দীঘিকে। শাপলা মিডিয়ার নতুন কোনো সিনেমায় দীঘিকে দেখা যাচ্ছে না।অন্য নায়িকা নিয়ে নতুন সিনেমার কাজ

শুরু করেছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি। এ ত’থ্য নিশ্চিত করেছেন বি’শ্বস্ত একটি সূত্র। পাঁচটি সিনেমা থেকে বাদপড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এই প্রতিবেদক। সেলিম খান বলেন—‘আমি এখন নিজ এলাকা চাঁদপুরে আছি। এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।’ সেলিম খানের এমন জবাবে বোঝাই যাচ্ছে—ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।

‘যোগ্য স’ন্তান’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে শাপলা মিডিয়া। এতে শান্ত খানের বিপরীতে দীঘির অভিনয় করার কথা ছিল। সিনেমাটি পরিচালনা করার কথা ছিল গুণী নির্মাতা কাজী হায়াতের। গল্প নিয়ে নায়ক-

নায়িকার সঙ্গে বসেছিলেনও এই নির্মাতা।সিনেমাটি থেকে দীঘির বাদপড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী হায়াৎ বলেন, ‘ওই সিনেমা আর হবে না। সাইনিংয়ের পরই সিনেমাটির কাজ ব’ন্ধ হয়ে গেছে। যতদূর জানি, ওই সময়ে যে কটি সিনেমার সাইনিং ও ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তার সবগুলো প্রজেক্ট এখন ব’ন্ধ।’ এদিকে মাস্টার মেকার খ্যাত

নির্মাতা মালেক আফসারি এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ধামাকা’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেন। এতে শান্ত খানের বিপরীতে দীঘির অভিনয় করার কথা ছিল। শুধু তাই নয়, দীঘির লুক নিয়েও বেশ কাজ করেন মালেক আফসারি। এরপর এই সিনেমার নতুন কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে মালেক আফসারি বলেন—‘‘ধামাকা’ সিনেমায় আমি চুক্তিব’দ্ধ হয়েছি। প্রযোজক আমাকে যথে’ষ্ট সম্মান দিয়েছেন। আমি শিল্পী বাছাই করেছি। এখন কবে নাগাদ সিনেমার কাজ শুরু হবে তা প্রযোজক বলতে পারবেন।

আদৌ কাজটি হবে কি না তা-ও আমি জানি না।একসঙ্গে এতগুলো সিনেমা থেকে দীঘি কেন বাদ পড়লেন এ বিষয়ে কেউ-ই কিছু বলতে পারছেন না। তা জানতে দীঘির মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন ব’ন্ধ

পাওয়া যায়। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ও কল করেও দীঘির কোনো সাড়া মেলেনি। বর্তমানে দীঘির হাতে একটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এর আগে শাপলা মিডিয়া প্রযোজিত ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ সিনেমার কাজ শে’ষে করেন তিনি। সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে আ’টকে আছে। অন্যদিকে ‘তুমি আছ-তুমি নেই’ সিনেমার কাজ শে’ষ করেছেন দীঘি।