দুই শি’শুকে যৌ’ন নি’র্যাতন, টাকায় মীমাংসা করেন চেয়ারম্যান!

মাদারীপুরের শিবচরে দুই শি’শুকে যৌ’ন নি’র্যাতনে তিন লাখ টাকায় মীমাংসার ঘ’টনায় ইউপি চেয়ারম্যানের উপ’স্থিতি থাকার বিষয়ের সত্যতা পেয়েছে তদ’ন্ত কমিটি।

মঙ্গলবার (২৩ মা’র্চ) দুপুরে জে’লা প্রশাসক ও জে’লা ম্যাজিস্ট্রেট ড. রহিমা খাতুন বিষয়টি নি’শ্চিত করেন। এতে অ’ভিযুক্ত উত্তর বহেরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন হাওলাদারের বি’রুদ্ধে ব্যব’স্থা নিতে স্থা’নীয় সরকার অধিদপ্তরে সুপারিশের কথাও জা’নান তিনি।

স’ম্প্রতি শিবচর উপজে’লার উত্তর বহেরাতলা ইউনিয়নের একটি গ্রামে দশ বছরের সমবয়সী দুই শি’শুকন্যাকে জাম্বুরা খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে নিয়ে যৌ’ন নি’র্যাতন চালায় প্রতিবেশী আকমান মাদবর (৫০)।

প্রথমে বিষয়টি গো’পন থাকলেও পরবর্তীতে যৌ’ন নি’র্যাতনের ঘ’টনা এলাকায় জা’নাজানি হলে গত ২০ ফেব্রুয়ারি উত্তর বহেরাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন হাওলাদার নি’র্যাতনের শি’কার ওই শি’শু কন্যার বাড়ির উঠানে মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠক করেন।

ওই বৈঠকে শত শত মানুষের উপ’স্থিতিতে সালিশে অ’ভিযুক্ত আকমান মাতবরকে তিন লাখ টাকা জ’রিমানা করেন। এছাড়াও চেয়ারম্যানের উপ’স্থিতিতে সালিশদাররা অ’ভিযুক্তকে ১০টি বেত্রাঘাত ও একাধিক কিল ঘুষি দিয়ে এলাকা ছাড়ার নির্দে’শ দেয় চেয়ারম্যান। এরপর পরই অ’ভিযুক্ত আকমান অসু’স্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থা’নীয়ভাবে চিকিৎ’সা দেয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে আকমানের পরিবারের লোকজন। সালিশের এতদিন পেরিয়ে গেলেও নির্যাতিত দুই শি’শুর পরিবারকে চেয়ারম্যানের করা সালিশের জ’রিমানার তিন লাখ টাকা দেয়া হয়নি। এছাড়া স্থা’নীয়ভাবে চা’পের মুখে রাখা হয় ওই শি’শু দুইটির পরিবারকে।

এক পর্যায়ে বিষয়টি জানতে পেরে গত ০৮ মা’র্চ বিকেলে নির্যাতিত শি’শুর পরিবারকে বাড়ি থেকে থা’নায় নিয়ে আসে শিবচর থা’না পু’লিশ। ঘ’টনার সত্যতা পাওয়ায় ওইদিনই রাতে আকমানকে একমাত্র আসামি করে।

চেয়ারম্যান উপস্থিত থেকে সালিশ করে সমাধান করে দিয়েছে উল্লেখ করে নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দমন আ’ইনে একটি মা’মলা করেন ওই শি’শুর পরিবার। এনিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্র’কাশিত হয়।

বিষয়টি জে’লা প্রশা’সনের নজরে এলে ঘ’টনার রহ’স্য উদঘাটনে গত ১০ মা’র্চ স্থা’নীয় সরকার অধিদপ্তরের মাদারীপুরের উপ-পরিচালক আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে এক সদস্যবিশিষ্ট তদ’ন্ত কমিটি করা হয়।

পরে তদ’ন্ত কমিটির প্রধান ঘ’টনাস্থল পরির্দশন করে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে এ ঘ’টনার সত্যতা পান। তদ’ন্ত শেষে জে’লা প্রশাসক বরাবর রিপোর্ট প্রদান করেন তিনি।

মাদারীপুরের জে’লা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জা’নান, শি’শু নি’র্যাতনের মতো ঘ’টনা চেয়ারম্যান সালিশি কোনও অবস্থাতেই ক’রতে পারেন না। এ ব্যাপারে তদ’ন্ত কমিটি রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। অ’ভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বি’রুদ্ধে ব্যব’স্থা নিতে স্থা’নীয় সরকার অফিদপ্তরে জা’নানো হয়েছে।