কাদের মির্জাকে পাবনায় পাঠাতে বললেন মারধরের শিকার সেই আ.লীগ নেতা

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেছেন, কাদের মির্জা সত্য বচনের নামে গত তিনমাস সারাক্ষণ মিথ্যা বলছেন। তিনি দলের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকেন।

ওবায়দুল কাদেরকে অসম্মান করে তার স্ত্রীকে অসম্মান করেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৬০-৭০ জন গুন্ডা নিয়ে তিনি (কাদের মির্জা) তার ওপর আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করেন। তিনি উম্মাদ-পাগল।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে তিনটি মামলায় জামিন পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান বলেন, ‘গত তিনমাস যদি তার ভিডিওগুলো দাখেন সেখানে বুঝতে পারবেন সে সত্য বচনের নামে উম্মাদ- পাগল। আমি মনে করি কুত্তা পাগল হলে মারি পালায়। মানুষ পাগল হইলে তারে পাবনা পাঠায় দাও। এসময় তিনি কাদের মির্জাকে দল থেকে বহিষ্কার করে চিকিৎসার জন্য পাবনায় পাঠানোর দাবি জানান।

অপরদিকে, একই সময়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাদের মির্জার ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেছেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে যে অপরাজনীতি চলছে আমরা এ অপরাজনীতির অবসান চাই।

অপরাজনীতির অবসান করতে হলে একটিমাত্র পথ রয়েছে—বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে দল থেকে বহিষ্কার করা এবং দ্রুত কোম্পানীগঞ্জ থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য উঠিয়ে নিয়ে আসা।

এটা ছাড়া কোম্পানীগঞ্জে শান্তি ফিরে আসবে না। আমরা দাবি জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী কাছে ও আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের কাছে। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেন, ‘সে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। আপনারা তার ভিডিও ফুটেজগুলো দেখলে, গত তিনমাস যাবত তার যে সকল বক্তব্য-বিবৃতি, এগুলো দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন সে সুস্থ কি অসুস্থ।