শরীয়তপুরের সদর উপজেলায় আট বছর বয়সী নিজের মেয়েকে ধ’’র্ষ’ণের অভি’যোগে মো. ফারুক বেপারী ভোলা (৫৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পালং থানা পুলিশ। নারী ও শিশু নি’র্যা’ত’ন দলমন আ’ইনে (ধ’’র্ষ’ণের) অভি’যোগ এনে ভিকটিমের খালা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফারুক ভোলা জেলার চর ফ্যাশন থানার চর নিউটন গ্রামের মৃ’’ত হারেজ বেপারীর ছেলে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর আগে প্রেমের স’ম্পর্ক করে ঢাকাতে ওই শিশুর মায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় ফারুক বেপরীর। বিয়ের চার বছর পর তারা শরীয়তপুরে চলে আসে। বিবাহিত জীবনে তাদের এগারো বছরের এক ছেলে ও আট বছরের এক মেয়ে আছে।
অভাবের সংসারের হাল ধরতে ওই শিশুর মা ২০১৮ সালে সৌদি আরব যান। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। সেই সুবাদে মো. ফারুক বেপারী তাদের ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলার নীলকান্দি এলাকার হারুন তালুকদারের ভাড়া বাসায় থাকেন।
ওই বাসায় গেলো ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে নিজের আট বছরের মেয়েকে মোবাইল ফোনে অ’শ্লী’ল ভিডিও দেখিয়ে ধ’’র্ষ’ণ করে। ইতোপূর্বেও ওই শিশুটিকে অ’শ্লী’ল ভিডিও দেখিয়ে একাধিক বার ধ’’র্ষ’ণ করেছে বলে অভি’যোগ রয়েছে।
অপরদিকে মেয়েকে ভ’’য় দেখিয়ে ঘ’টনা কাউকে বললে খুন করার হু’ম’কি দেয়। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি মেয়ে তার খালাকে ধ’’র্ষ’ণের ঘ’টনা খুলে বলে। পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই শিশুকে নিয়ে ওর খালা দ্রুত পালং মডেল থানায় এসে অভি’যোগ করেন। এ ঘট’নায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
ভিকটিমের খালা বলেন, ভাগনি ওর বাবার ভ’য়ে এতদিন চু’প ছিল। কাউকে কিছু বলেনি। আমার বাড়িতে আসলে বিষয়টি ভাগনি আমাকে খুলে বলে। পরে আমি ভাগনিকে নিয়ে থানায় মামলা করেছি। ফারুক ভাগনির সঙ্গে পৈ’চা’শি’ক কাজ করেছে। ফারুক একজন অমানুষ ওর ফাঁ’’সি হওয়া উচিত।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, আমরা ভিকটিমের খালার অভি’যোগ এবং সার্বিক বিষয় যাচাই-বাছাই করে তার বি’রু’দ্ধে মামলা নিয়েছি। বুধবার রাতে নিজ মেয়েকে ধ’’র্ষ’ণের অভি’যোগে ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ আদালতের মাধ্যমে তাকে কা’রাগা’রে পাঠা’নো করেছি এবং ভিকটিমকেও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর ১৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।