আমাদের জীবন চলার পথে শয়তানের প্ররোচনায় ইচ্ছা-অনিচ্ছায় জেনে-না জেনে অনেক গুনাহ হয়ে যায়। এর মধ্যে কিছু বড় গুনাহ থাকে, যা তওবা ছাড়া মাফ হয় না। কিছু গুনাহ এমন রয়েছে, যা আল্লাহ তাআলা তওবা-ইস্তিগফার ছাড়া বান্দার নেক আমলের মাধ্যমে মাফ করে দেন।
তবে এর মধ্যেও বিশেষ কিছু আমল রয়েছে যেগুলো গুনাহ মাফের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তেমনই এক নামাজের নাম আওয়াবীনের নামাজ। এই নামাজ আদায় করলে ১২ বছরের গুনাহ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
মাগরিবের ফরজ এবং সুন্নাতের পর কমপক্ষে ছয় রাকআত এবং সর্বাপেক্ষা বিশ রাকআত নফল নামাজকে আওয়াবীনের নামাজ বলা হয়। হাদিসে এই ছয় রাকাত আওয়াবীনের ফজিলতের ১২ বছরের ইবাদত করার সওয়াব অর্জিত হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। অপর এক হাদিসে বিশ রাকআত পাঠ করলে জান্নাতে আল্লাহ তার জন্য একটা ঘর তৈরি করবেন বলা হয়েছে।
হাদিসে আছে, হযরত হুযাইফা (রা) বলেন “আমি নবীজি (সা)-র কাছে এসে তার সাথে মাগরীবের নামাজ আদায় করলাম। তিনি মাগরীবের পরে ইশার নামাজ পর্যন্ত নফল সালাতে রত থাকলেন।” সহীহ হাদিস। (ইবনু আবী শাইবা, মুসান্নাফ, নসাঈ, সুনানুল কুবরা)।