রেস্টুরেন্টে ম’দের পার্টিতে অতিরিক্ত ম’দ্যপা’ন করিয়ে এবং পরে ধর্ষণে নিহত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মৃ’ত্যুর ঘটনায় গ্রে’ফতার তার বান্ধবী ফারজানা জামান নেহা প্রতি রাতেই ম’দের পার্টির আয়োজন করতেন। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও ক্লাবে ডিজে পার্টির আয়োজন করে সেখানে বিত্তশালীর সন্তানদের নিয়ে আসতেন।
সেখানে ম’দ খেয়ে নানা পোশাকে নাচানাচি আর তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে টাকা হা’তানোই ছিল তার প্রধান উদ্দেশ্য।রি’মান্ডে পু’লিশের কাছে দেয়া নেহার বক্তব্য থেকে বেরিয়ে আসছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত শুক্রবার ভোররাতে রাজধানীর
আজিমপুরের একটি বাসা থেকে নেহাকে গ্রে’ফতারের পর ঢাকা মহানগর হাকিম আ’দা’লতে তোলা হয়। তদ’ন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রি’মান্ডে আবেদন করলে ‘আ’দা’লত পাঁচ দিনের রি’মান্ড ম’ঞ্জু’র করেন।মাম’লার আ’সা’মিরা হচ্ছেন- ওই তরুণীর বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১)।
মাম’লায় তাকে ধর্ষ’ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য চার সহযোগীর মধ্যে তিনজন হচ্ছেন- নুহাত আলম তাফসির (২১), আরাফাত (২৮) ও নেহা (২৫)। আরেক বন্ধুর নাম জানা যায়নি। মাম’লায় অজ্ঞাত হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই মাম’লার পাঁচ আ’সা’মির মধ্যে আরাফাত নামে একজন মা’রা গেছেন।
গত ২৮ জানুয়ারি বিকেলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওই ছাত্রী তার বয়ফ্রেন্ড মর্তুজা রায়হান চৌধুরীসহ পাঁচজন উত্তরার ‘ব্যাম্বু স্যুটস’ রেস্টুরেন্টে যান এবং ম’দপান করেন।
রেস্টুরেন্টে অবস্থানের সময় ওই ছাত্রী অসু’স্থতা বোধ করেন। পরে তাকে নিয়ে আসা হয় মোহাম্মদপুরের মোহাম্মাদীয়া হোমস লিমিটেডের তিন তলার একটি ফ্ল্যাট।পরদিন বন্ধুর বাসায় থাকাকালে ওই অসু’স্থ ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন তার বয়ফ্রেন্ড মর্তুজা রায়হান। এতে আরও অসু’স্থ’তা বোধ করলে গভীর রাতে তাকে প্রথমে নেওয়া হয় কল্যাণপুরের ইবনে সিনা হা’স’পা’তালে।
সেখানে লাইফ সাপোর্টের ব্যবস্থা না থাকায় নেয়া হয় ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হা’স’পা’তালে। পরে চি’কি’ৎসাধীন অবস্থায় ৩১ জানুয়ারি দুপুরে মৃ’ত্যু হয় ওই শিক্ষার্থীর।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডি’সি) হারুন-অর-রশিদ বলেন, অতিরিক্ত ম’দ্যপানে বিশ্ববিদালয়ের ছাত্র এবং ছাত্রী মা’রা যাওয়ার ঘটনার ত’দন্ত করতে গিয়ে আমরা দেখলাম, রাজধানীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে এই ধরনের পার্টি প্রায়ই হয়ে থাকে।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মৃ’ত্যুর ঘটনায় উল্লেখ্যযোগ্য
আ’সা’মি ওই ছাত্রীর বান্ধবী ফারজানা জামান নেহা প্রতি রাতে এই ধরনের পার্টির আয়োজন করতেন। তার মূল কাজ ছিল বিভিন্ন জায়গা, রেস্টুরেন্ট, ক্লাবে আগেই থেকে বুকিং দিয়ে পার্টির আয়োজন করা।
পু’লিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ওই পার্টিতে সমাজের বিত্তশালীর ছেলে-মেয়েরা, যারা সারারাত ঘুরে বেড়ায়, এমন ছেলেদের তারা সংগ্রহ করতেন। রাতের এই পার্টিতে বাইরে থেকে ম’দ সরবরাহ করত একজন। ম’দ খেয়ে নাচানাচি করতেন নেহা ও তার আমন্ত্রিত ছেলে-মেয়েরা।
নেহারা সেখানে বিভিন্ন পোশাকে নাচানাচি করতেন জানিয়ে ডি’সি হারুন-অররশিদ বলেন, নেহার মতো যারা মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে, তারা প্রতিরাতে বিভিন্ন পোশাক পরে পার্টিতে নাচতেন।
তাদের কাজ ছিল ডিজে পার্টিতে বড়লোক বা বিত্তশালীদের এনে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা। এই বন্ধুত্বের সুযোগের তাদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। এর বাইরে তাদের কোনো ইনকাম সোর্স নেই।ডি’সি হারুন অর-রশিদ-বলেন, এসব পার্টির
পিছনে কাজ করে এক ধরনের অসাধু মাদক ব্যবসায়ী, যাদের কোনো ম’দের লাইসেন্স নেই। আবার কিছু রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী রয়েছে, যাদের ওখানে বসে ম’দ খাবার অনুমতি
না থাকলেও তারা এসব করে থাকেন। উত্তরার ব্যাম্বু স্যুটস রেস্টুরেন্টে ম’দপানের অনুমতি ছিল না। কিন্তু ২৮ জানুয়ারি রাতে তারা সেখানে ম’দ খেয়েছেন, নাচানাচি করেছেন। এরপর মাওয়া গিয়েছেন। সেখান থেকে অসু’স্থ হয়ে পরে দুজন মা’রা গেছেন।
এদিকে, মা’মলার এজাহারে থাকা তিন নম্বর আ’সামি আরাফাত মাম’লার আগের দিন (৩০ জানুয়ারি) মোহাম্মদপুর সিটি হা’স’পাতালে চি’কি’ৎসা’ধীন অবস্থায় মা’রা যান এবং অনেক গো;’প’নীয়তার সঙ্গে হা’সপা’তাল থেকে ম’রদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই ছাত্রীর মৃ’ত্যুর ঘটনায় তার বাবা চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরেকজনসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মাম’লা করেন। এরপর ওই শিক্ষার্থীর প্রেমিক ম’র্তুজা রায়হান চৌধুরী, তাফসির ও কোকো আটক হন। প্রাথমিক সম্পৃক্ততা না থাকায় পরে কোকোকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় জড়িত ছেলে-মেয়েদের পরিবারে তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের অসামঞ্জস্য থাকার কথা জানান ডি’সি-হারুন-অর রশিদ। তিনি বলেন, ছাত্রী নিহতের ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মাম’লা হলো। আম’রা লক্ষ করে দেখতে পেয়েছি, হয়
বাবার সঙ্গে মায়ের মনোমালিন্য অথবা বাবা-মায়ের সঙ্গে ছেলে-মেয়ের মিল নেই। অথবা তারা বাবা-মায়ের কথা শুনছে না বা অবাধ্য সন্তান। তারা বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে সারা রাত বাইরে থাকে। ফলে আমাদের সমাজে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
এখন থেকে ডিজে পার্টি বা ম’দের পার্টির প্রতি কড়া নজরদারির ওপর গুরুত্ব দেন ডি’সি হারুন। এছাড়া অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী বা যারা লাইসেন্সের বাইরে ম’দ বিক্রি করে তাদের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে।
ছেলে-মেয়েরা সারারাত কোথায় ঘোরে, ড্রিংক করে বাসায় ফেরে কি না- সেদিকে বাবা-মাকে নজর রাখতে পরাম’র্শ রেখে ডি’সি হারুন বলেন, না হলে সমাজে এই ধরনের মৃ’ত্যু বা অপরাধ রোধ করা কঠিন হবে।
মোহাম্মদপুর ‘থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও’সি) আব্দুল লতিফ ব্রেকিংনিউজকে বলেন, নেহার পাঁচ দিনের রি’মান্ড চলছে। রিমা’ন্ডে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে যা আম’রা ত’দন্ত করছি।
মাম’লার পাঁচ আসামির মধ্যে আরাফাত নামে একজন মারা গেছেন। তার ম’রদেহ উত্তোলন করা হবে কি-না জানতে চাইলে ও’সি বলেন, এখন পর্যন্ত তার ম’রদে’হ উত্তোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।