৭০০ নয় আমাকে ১০০ কোটি দেন, আমি করে দিব

বাদাঘাট বাইপাস সড়ক নিয়ে সিলেটে আলোচনা তুঙ্গে। এই সড়কটির গু’রুত্ব এখন অনুধাবন করছেন সবাই। কারন- বাইপাস না থাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হচ্ছেন নগরের মানুষ। কোম্পানীগঞ্জে’র বিকল্প বাইপাস না থাকার কারনে বাধ্য হয়ে নগর দিয়ে চলছে ট্রাক।এই অব’স্থায় গত শুক্রবার রাতে জে’লা প্রশা’সনের

হলরুমে    পররাস্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের উপ’স্থিতিতে সিলেটের উন্নয়ন সম্বলিত বৈঠকেও আলোচিত হয় বাদাঘাট বাইপাস সড়কটি। বৈঠকে উপস্থিত থাকা অনেকেই মন্ত্রীর সামনে এই বাইপাস সড়কের গু’রুত্ব তুলে ধ’রেন। মন্ত্রীও নিজে এই সড়কটি গু’রুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এ কারনে সড়কটির কাজ দ্রুত শুরু ক’রতে তিনি ডিও’র পর ডিও দিচ্ছেন

বলে বৈঠকে জা’নান।এক পর্যায়ে আলোচনায় আসে সড়কের উন্নয়ন কাজে’র নির্মান ব্যায় নিয়ে। সড়ক বিভাগ থেকে জা’নানো হয়- এই সড়কটি উন্নয়ন ক’রতে হলে ৭০০ কোটি টাকা প্রয়োজন।

পররাস্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনও এতো ব্যয় নিয়ে বিস্ময় প্র’কাশ করেন। এ সময় বৈঠকে উপস্থিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এতো টাকা ব্যয় শুনে চ’মকে উঠেন।তিনি এ সময় মন্ত্রীকে আশ্বস্থ করে বলেন- ‘এতো টাকা লাগবে না। আমাকে ১০০ কোটি টাকা দেন, আমি এই সড়কটি করে দেবো।’ তার কথায় আশ্বস্থ হন পররাস্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

এ সময় পররাস্ট্রমন্ত্রী মেয়রকে জা’নান- ‘আপনি একটি প্রস্তাবনা দেন। এটি নিয়ে আমি আলোচনা করবো।’ বৈঠকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সড়ক বিভাগের ক’র্মকর্তাদের বি’রুদ্ধে ক্ষোভও ঝাড়েন।এদিকে- সিলেটের বাদাঘাট বাইপাস সড়কের গু’রুত্ব অনেক আগেই অনুধাবন করেছিলেন সিলেট-১

আসনের এমপি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার শাসনামলেই ওই সড়কটিকে বাইপাস সড়ক নির্মানের প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু সড়ক বিভাগ থেকে সেটি ঝুলিয়ে রাখা হয়। এখন বাদাঘাট এলাকায় নির্মান করা হয়েছেন নতুন কে’ন্দ্রীয় কা’রাগার। ফলে বাদাঘাট বাইপাস সড়কের গু’রুত্ব আরো বেড়েছে।

এরপরও কাজ শুরু না হওয়ায় পররাস্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যে কয়েক দ’ফা ডিও দিয়েছেন। তার ডিও’র প্রেক্ষিতে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের ক’র্মকর্তারা চার মাস আগে সিলেটে এসে সরজমিনে পরিদ’র্শন ও সার্ভে করে গিয়েছে।