দুই সন্তানের মা, নারী ইউপি মেম্বারকে নিয়ে ছাত্রলীগ সম্পাদক লাপাত্তা

প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পা’লিয়ে’ছেন বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেন। দুই সন্তানের জননী ওই নারী উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বার। তার নাম আছমা খানম

লাকী। এ বিষয়ে মুলাদী থানায় একটি লি’খিত অ’ভিযো’গ দিয়েছেন প’লাত’ক লাকি খানমের শ্বশুর আবুল হাশেম কাজী।

মুলাদী থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন জানান, ১৬ নভেম্বর সকালে প্রবাসীর স্ত্রী আছমা খানম লাকী থানায় এসে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেনের বি’রু’দ্ধে মৌখিকভাবে ধ-র্ষ-ণের অভি’যোগ করেছিলেন। তাকে

লিখিত অভি’যোগ দিতে বলায় তিনি থানা থেকে চলে গেছেন। তবে আছমা খানমের শ্বশুর আবুল হাশেম কাজী তার পুত্রবধু ও কাজী মুরাদের বি’রু”দ্ধে একটি লিখিত অভি’যো’গ দিয়েছেন। অ’ভিযো’গটি তদ’ন্তপূ’র্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আছমা খানম লাকী চরকালেখান ইউনিয়নের আবুল হাশেম কাজীর ছেলে মোতালেব কাজীর স্ত্রী। আবুল হাশেম কাজী জানান, ১৭ বছর আগে তার কুয়েত প্রবাসী ছেলে মোতালেবের সাথে ষোলঘর গ্রামের আক্তার খানের মেয়ে আছমা খানম লাকীর বিয়ে হয়। বি’বাহি’ত জীবনে তাদের একপুত্র ও এককন্যা সন্তান রয়েছে।

২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনের সময় আছমা খানম লাকী সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী হলে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদের সাথে পরিচয় ঘটে। এরপর থেকে তাদের সাথে সর্ম্পক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে এ’কা’ধিকবার

পারিবারিকভাবে শা’লিসও হয়েছে। সোমবার (১৬ নভেম্বর) আছমা খানম লাকী ২০ লাখ টাকা ও ৪ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে শ্বশুরের ঘর থেকে পা’লিয়ে যায়। আমরা জেনেছি, তার পর’কী’য়া প্রেমিক কাজী মুরাদের সাথে পা’লিয়েছে তিনি। এ ঘটনায় থানায় অ’ভিযো’গ দিয়েছি।

বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেনের বি’রু’দ্ধে অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। তাঁর বি’রু’দ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।