অনেক আদর করেছি তোমায়, আর করা যাবে না

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে এক তরুণীর গোপন ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় চলছে।

অশ্লীল ফোনালাপ ছাড়াও চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে রাজধানীর একটি হোটেলে ওই তরুণীর সময় কাটানোর একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ওই তরুণীর বাড়ি উপজেলার ছেঁউড়িয়া মন্ডলপাড়া এলাকায়।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপ এবং ফেসবুকে ভাইরাল ছবিটি নিজের বলে স্বীকার করেছেন তরুণী। একই সঙ্গে ফোনালাপের ব্যক্তি এবং ছবির ব্যক্তি কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে রাজধানীর মিরপুর এলাকার একটি হোটেলে একাধিকবার সাক্ষাতের এবং একান্তে সময় কাটানোর বিষয়টি অকপটে শিকার করেছেন তরুণী।

তরুণী জানান, তিনি স্বামী পরিত্যক্তা। তবে বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। কিন্তু তার গর্ভের সন্তানের বাবা আব্দুল মান্নান খান নন। কে তার সন্তানের বাবা বিষয়টি বলতে চাননি তরুণী।

তরুণীর সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আব্দুল মান্নান খানের এই নৈতিক অবক্ষয় মেনে নেয়া যায় না।

তরুণী বলেন, প্রায় দুই বছর আগে প্রতিবেশী মিলন নামের এক যুবকের মাধ্যমে কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ গ্রামের আইনজীবী আনিসুর রহমান লালের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে লালের সঙ্গে তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর কুষ্টিয়া এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করি আমরা।

চলতি বছরের শুরুতে আনিসুর রহমান কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলে বলেন তার খুব কাছের নেতা ও প্রিয় মানুষ। পরিচয়ের পর আব্দুল মান্নান খান আমার প্রতি আসক্ত হন। এরপর থেকে চলতে থাকে দিনের পর দিন মুঠোফোনে কথোপকথন।

তরুণী বলেন, পরিচয় হওয়ার পর আমি এবং আব্দুল মান্নান খান রাজধানীর একটি হোটেলে বেশ কয়েকবার দেখা করেছি এবং সময় কাটিয়েছি।

আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে কথোপকথনের অডিও কিভাবে ছড়িয়ে পড়ল জানতে চাইলে তরুণী বলেন, আনিসুর রহমান লাল আমার মোবাইলের মেমোরি কার্ড বের করে নিয়ে যান। পরে এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ঢাকার হোটেলে অবস্থানের ছবিটিও লাল আমার অজান্তে গোপনে ধারণ করেন।

এদিকে, অডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনায় আব্দুল মান্নান খান স্থানীয় রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। দলীয় কর্মসূচিতে তাকে দেখা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, নৈতিক স্খলন কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। ব্যক্তির অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। এর দায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই নিতে হবে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

আব্দুল মান্নান খান এবং তরুণীর কথোপকথন :

মান্নান খান : একটু আদর করো।
তরুণী : এখন আবার অবেলা করে কিসের আদর?
মান্নান খান : আদরের কোনো বেলা নেই, একটু আদর করো, তাই শেষ।
তরুণী : অনেক আদর করেছি তোমায়। আদর করা যাবে না। আবার পরে।
মান্নান খান : না একটু করো লক্ষ্মী, সোনা আমার, লক্ষ্মী আমার।
তরুণী : পরে আদর করছি সোনা।
মান্নান খান : সোনা একটা কিস দাও। সোনা একটু কিস দাও।
তরুণী : আচ্ছা ঠিক আছে, নেন। হয়েছে।
মান্নান খান : শোনা যায়নি। একটু জোরে খাও।
তরুণী : ওরে আল্লাহ। এর চেয়ে জোরে হবে না।
মান্নান খান : আসল চুমু কবে খাবা? তাই বলো?
তরুণী : দিন তারিখ ঠিক করেন।
মান্নান খান : আমি তো সবসময় রেডি।
তরুণী : আচ্ছা ঠিক আছে। আমিও আছি।

প্রসঙ্গত : এমন আরও অশ্লীল ফোনালাপের অডিও জাগো নিউজের হাতে এসেছে। সবগুলো অডিও প্রকাশ করা হয়নি।

 

সূত্র : jagonews24.com/country/news/622016