কাতারফেরত প্রবাসী স্বপন এখন ফুটপাতের চা বিক্রেতা

বুকের মাঝে হাজার স্বপ্ন নিয়ে ভা;গ্যকে বদলে ফেলতে চাকরি নামের সোনার হরিণের খোঁজে ১৯ মাস আগে উপসাগরীয় দেশ কাতার পাড়ি জমিয়েছিলেন বরিশালের বানারীপাড়ার পশ্চিম সলিয়াবাকপুর গ্রামের স্বপন। সেখানে কর্মী হিসেবে কাজ করে ভালোই সময় কা;টছিল তার। প্রবাসী

স্বপনের কাতার যেতে করা ঋ;ণ একটু একটু করে পরিশোধের পাশাপাশি স্ত্রী, দশ বছর বয়সী জুঁই ও ৩ বছরের মেয়ে জামিলাকে নিয়ে সংসার ভালোই চলছিল।

মেয়ে দুটিকে পড়ালেখা শিখিয়ে তাদের আলোকিত জীবন গড়ার পাশাপাশি পরিবারে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য আনার স্বপ্ন নিয়ে কাতারে রাত-দিন কাজ করে অর্জিত অর্থ বাংলাদেশে পাঠাতেন তিনি। কিন্তু স্বপনের স্বপ্ন ;হারিয়ে হ;ঠাৎ অমানিশার ঘোর অ;ন্ধকার নেমে আসে। আর সেই অ;ন্ধকার নামিয়ে দেয় করোনা ভা;ইরাস।

কো;ভিড-১৯ এর কারণে কাতারে পাচ মাস বেকার হো;মকোয়ারেন্টাইন জীবন কা;টিয়ে ৪ মাস পূর্বে তাকে খালি হাতে দেশে ফিরে আসতে হয়। দেশে এসে ক;র্মহীন থেকে সংসারে নিত্য অভাব ও বিদেশে যেতে হওয়া ঋ;ণ পরিশোধের চাপে

দি;শেহারা হয়ে পড়েন তিনি। শেষে বানারীপাড়া পৌর শহরের বন্দর বাজারের ফেরিঘাট সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর তীরে শহর র;ক্ষা বাঁধের আদলে নির্মিত নতুন ছোট্ট একটি ছাপড়া ঘর তুলে সেখানে চা-বিস্কুট-সিঙ্গারার দোকান দেন তিনি।

এ দোকানে সারা দিনে তার আয় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। তার এ সামান্য আয় দিয়ে সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। কিভাবে দু’মেয়ের লেখাপড়ার খরচ, ৪ জনের সংসারের ভ;রণপোষণ ও ঋ;ণ পরিশোধ করবেন এ দুঃশ্চিন্তায় তিনি কাতর।

এ ছাড়া নদীর তীরে রাস্তার পাশে অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা দোকানটিও পৌর কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় সরিয়ে নেওয়ার

নির্দেশ দিতে পারে। প্রা;ণ;ঘা;তি ক;রোনা স্বপনের সব স্বপ্ন দুঃ;স্বপ্নে পরিণত করেছে। বিদেশের সুখের জীবনে অমানিশার ঘো;র অ;ন্ধকার নামিয়ে আজ ফুটপাতের অ;নিশ্চিত জীবনের দিকে ঠে;লে দিয়েছে।

এ বিষয়ে কাতারফেরত স্বপন বলেন, করোনা আমাকে পথে বসিয়েছে। বড় আশা নিয়ে আমি কাতার গিয়েছিলাম। ফিরে

আসলাম খা;লি হাতে। এখন যে ভালো কোনো ব্যবসা করব সেই উপায়ও নেই আমার কাছে। কিছু অর্থ পেলে ভালো কোনো ব্যবসার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
তথ্য সূত্রঃ কালের কন্ঠ