সনদ জা’লিয়াতি করে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করেন সেই চেয়ারম্যান

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের এবার নতুন গোমর ফাঁস হয়েছে। ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে করে তুমুল আলোচনার ঝড় তুলেন এ চেয়ারম্যান। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বাল্যবিয়ে করা তৃতীয় স্ত্রীরসনদ জালিয়াতি।

রক্ষকই যেন ভক্ষকের ভূমিকায় থাকায় এ নিয়ে ইউনিয়নবাসীসহ জেলায় ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গত রবিবার একই ইউনিয়নের দোলন গ্রামের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ৪৫ বছর বয়সের চেয়ারম্যান বিয়ে করেন।

এ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে কুড়িগ্রামসহ দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। এ

সমালোচনা থেকে বেঁচে যেতে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব জালিয়াতির মাধ্যমে তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর পিএসসি সনদে বয়স বাড়িয়ে তার পক্ষের লোকজন দিয়ে বিয়েটি বাল্য বিয়ে নয় বলে প্রচারণা চালিয়েছেন।

তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর প্রাথমিক সমাপনী (পিএসসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) সনদ অনুযায়ী চেয়ারম্যানের দেয়া তথ্যে গলদ রয়েছে। ওই ছাত্রীর দুই সনদে জন্ম তারিখ ২৩.০৯.২০০৩ইং অনুযায়ী বর্তমান বয়স ১৭ বছর ১ মাস ১২ দিন।

চেয়ারম্যানের এমন অভিনব প্রতারণার বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে আবারো সমালোচনায় পড়েন তিনি। তবে সংশ্লিষ্টরা জানান, আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে একজন ইউপি চেয়ারম্যান কিভাবে সনদ জালিয়াতি করে বাল্যবিয়ে করেন। এনিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের দোলন গ্রামের প্রতিবন্ধী ওসমান গনি সরকার ওরফে বাচ্চু মিয়ার ৯ম শ্রেণি

পড়ুয়া কন্যার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন সাতভিটা গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবু

তালেব। এরপর হতদরিদ্র ওই শিক্ষার্থীর পরিবারকে নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ও আর্থিক সহায়তার কথা বলে গত রবিবার রাতে ৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে চেয়ারম্যানের সাথে বিয়ে দেন তার পরিবারের লোকজন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন,ঘটনাটি শুনার পর এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।