পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র জমজম কূপকে তাচ্ছিল্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী। তাচ্ছিল্যকারী ঐ শিক্ষার্থী নাম আব্দুল্লাহ আল হাদী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
তার নামে এর আগেও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বিভিন্ন পোস্ট ও বিরুপ মন্তব্য করার অ’ভিযোগ রয়েছে। স্টাটাসটি সামাজিক যোগাযোগ ভাইরাল হলে ক্ষো’ভের সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সহপাঠী এবং সচেতন শিক্ষার্থীরা তার শাস্তি দাবি করে স্ট্যাটাস ও মন্তব্য করেছেন।
ফ্রান্সের ম্যাগাজিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যাঙ্গচিত্র ছাপানোয় সারাদেশের মুসলমানরা ফরাসি পণ্য বর্জনের দাবিতে যখন সোচ্চার। ঠিক তখনই পণ্য না বর্জনের পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে নিজ টাইমলাইনে পোস্ট করেন ঐ শিক্ষার্থী।
তিনি ঐ পোস্টে পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র জমজম কূপকে তথাকথিত মক্কা ও তথাকথিত জমজম কূপ বলে তাচ্ছিল্য করেন। পরে মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হলে তার সহপাঠীসহ অন্য শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় তোলে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক সহপাঠী বলেন, সে ধর্ম নিয়ে এমন বাড়াবাড়ি এর আগেও কয়েকবার করেছে। মাঝে আরো একবার ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করায় প্রতিবাদের ঝড় উঠলে সে তার আইডি ডিজেবল করে রাখে। এবার তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
প্রতিবাদের ঝড় উঠলে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে হাদী তার টাইমলাইন থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেন। এর আগেও তার বিভিন্ন পোস্টে বিতর্কের জন্ম দিলেই পোস্ট সরিয়ে নিতেন ওই শিক্ষার্থী।
বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাক মোক্তাদির মনোয়ার আলী বলেন, আমরা বিভাগীয় ছাত্র উপদেষ্টা উপ-কমিটিকে খোঁজ নিতে বলেছি। আজ বিভাগের জরুরী মিটিং কল করা হয়েছে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত আমরা প্রশাসনকে জানাবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, আমি তার বিভাগের সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বিভাগীয়ভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান না করতে পারলে প্রশাসনকে জানাবেন।