অবশেষে নিম্নচাপের প্রভাব কেটে যাওয়ায় রোববার কক্সবাজার কূলে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ।
তিনি জানান, টানা তিনদিন ভারী বর্ষণ দিয়ে অবশেষে নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেছে। সংকেতও নামিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়া এখনো রয়েছে। রোববার ট্রলার চলাচল শুরু হলে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকদের কক্সবাজার কূলে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান জানান, সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে পড়ায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর দেখানো সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে। গত তিনদিন ধরে চলা বৃষ্টিপাতও থেমেছে। শনিবার সকাল
থেকে বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে। অল্পসময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়েছে। শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। রোববারও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাগরে সংকেত না থাকলেও সমুদ্র কিছুটা উত্তাল রয়েছে।
এদিকে, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গিয়ে দুই শতাধিক পর্যটক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আটকা পড়লেও তারা নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ।
একই কথা বলেছেন, সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারেক মাহমুদ। তার মতে, সেন্টমার্টিনের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে নজরদারি রেখেছে প্রশাসন।
বৈরী আবহাওয়ার জন্য আটকাপড়া নারায়ণগঞ্জের পর্যটক ইব্রাহিম রায়হান বলেন, প্রশাসনিক দেখভাল এবং স্থানীয়দের আতিথেয়তায় বৈরী আবহাওয়া কেন্দ্রিক আতঙ্কের কোনো ছাপই আমাদের মাঝে ছিল না। সামুদ্রিক সতর্ক সংকেতের
বিষয়টি আমাদের মাঝে চিন্তার রেখাপাত করেনি। সময়মতো ফিরতে পারিনি বলে কাজের ব্যাঘাতের বিষয়টি মাথায় এসেছে। এখন রোববার কূলে ফিরে কাজে যোগদানের তাড়া করব।
টেকনাফের ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কয়েকদিন ধরে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই সেখানে আটকা থাকা পর্যটকরা কক্সবাজার কূলে ফিরে আসতে পারেননি।
তিনি জানান, আটকাপড়া পর্যটকদের প্রশাসনিক তদারকিতে নিরাপদে রাখা হয়। এখন সংকেত উঠে গেছে। জাহাজ চলাচল শুরু হলে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে নিরাপদে কূলে ফেরা পর্যন্ত দেখভাল করতে সেন্টমার্টিন পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
