বিয়ের আনুষ্ঠিকতার একমাসেই লা’শ হলো নববধূ

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজে’লায় সুলেমা আক্তার নামে এক ন;ববধূকে হ’ত্যা করে আ;ত্মহ’ত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টার অ’ভিযোগে স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে অ’ভিযান চালিয়ে তাদের গ্রে’ফতার করা হয়। তারা হলেন স্বামী হৃদয় ও শাশুড়ি ফরিদা বেগম। হৃদয় পৌরশহরের গরুহাট্টা এলাকার হারুন মিয়ার ছে’লে।

মৃ’ত সুলেমা মোহনগঞ্জ উপজে’লার কলেজ রোড এলাকার আবদুস ছাত্তারের মে’য়ে। তিনি মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছা’ত্রী।

জানা যায়, পারিবারিকভাবে দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হলেও গত ১১ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে স্ত্রী’ সুলেমা আক্তারকে ঘরে তুলে নেন হৃদয়। সুলেমা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

নি’হতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুলেমাকে ফাঁ’স লাগানো অবস্থায় হাসপাতা’লে নিয়ে যান তার স্বামী হৃদয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন চিকিৎসক সঞ্জিব দত্ত।

এ ঘটনায় রাতেই মে’য়ের বাবা আবদুস ছাত্তার বাদী হয়ে যৌতুকের কারণে নি’র্যাতন করে হ’ত্যার অ’ভিযোগ এনে স্বামী হৃদয়, শাশুড়ি ফরিদা বেগম, দেবর জয় ও তার ভগ্নিপতি জামালকে আ’সামি করে এবং আরো কয়েকজন অ’জ্ঞাতকে অ’ভিযু’ক্ত করে মা’মলা করেন।

মা’মলার পরই নি’হতের স্বামী হৃদয় ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে গ্রে’ফতার করে পু’লিশ।

মৃ’তের বাবা আবদুস ছাত্তার বলেন, মে’য়েকে ঘরে তুলে নেয়ার পরই যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিল হৃদয় ও তার পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে আমা’র মে’য়েকে নি’র্যাতন করে হ’ত্যা করার পর সেটিকে আত্মহ’ত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।

মোহনগঞ্জ থা’নার ওসি আবদুল আহাদ খান বলেন, এ ঘটনায় নি’হতের স্বামী হৃদয় ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে গ্রে’ফতার করে মঙ্গলবার আ’দালতে পাঠানো হয়েছে।

ম’রদেহ ময়নাত’দন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতা’লে ম’র্গে পাঠানো হয়েছে। সুলেমা আক্তারের মৃ’ত্যুর পেছনে র’হস্য থাকতে পারে। ময়নাত’দন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।