মঙ্গলবার থেকে সকল অনুমোদনহীন বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড অপসারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শনিবার গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্ক উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে যত ধরনের অনুমোদনহীন সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড আছে সেগুলো অপসারণ করা হবে। আগামীকাল এবং পরশু দিনের মধ্যে অনুমোদনহীন সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদির অনুমোদন নিয়ে নিন। যারা অনুমোদন নেবেন তাদের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি ভাঙা হবে না। ১৫ তারিখ থেকে সকল বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, যতই ক্ষমতাবান হন না কেন, মাসল ম্যান হন না কেন, ভেঙে দেওয়া হবে যদি অনুমোদন না নেন।‘
ব্যবসা করলে ট্যাক্স দিতে হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা এই শহরে সুন্দরভাবে থাকতে চাই। কিন্তু কেউ কেউ নিজের স্বার্থে, সকলের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছেন। অনেকে বড় বড় হাউজিং করছেন, প্রজেক্ট সাইন, ব্যানার, সাইনবোর্ড ইত্যাদি দিয়ে লিখে রেখেছেন, ব্যবসা করছেন। ব্যবসা করেন, ভালো কথা, কিন্তু সেটারও ট্যাক্স দিতে হবে। ঢাকা শহরকে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছি, আমরা ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করার জন্য কাজ করছি, বর্জ্য অপসারণের কাজ করছি, কিন্তু ট্যাক্স দেব না, এটা হতে পারে না। এটি হতে দেওয়া যাবে না।’
প্রয়াত মেয়র আনিসুল হককে স্মরণ করে মেয়র বলেন, ‘ঢাকার পার্ক, খেলার মাঠ উন্নয়ন আনিস ভাইয়ের একটি স্বপ্ন ছিল। তার প্রতিটি স্বপ্নকে আমরা একে একে সফল করব। এই পার্কে ১৭ শ গাছ আছে। কোনো গাছকে কাটা হয়নি। জনগণকে, স্থানীয় কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে এই পার্কের ডিজাইন করা হয়েছে। এই পার্কে ইনডোর জিমনেশিয়াম আছে। আউটডোরেও জিমনেশিয়াম আছে। এই পার্কের ভেতরে একটি কফিশপও আছে। এই পার্কে এলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে। গোস্বা নিবারণের জন্য ঘরে থাকতে হবে না, এই পার্কে এলেই হবে। এখানে একটি মুজিব কর্নার রয়েছে, একটি লাইব্রেরি আছে।’
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাকি সাতাশটি পার্ক ও খেলার মাঠ দ্রুত উদ্বোধন করার জন্য আমি আমার টিমকে প্রেশার দিয়ে যাচ্ছি। দখল করে থাকা পার্ক, খেলার মাঠ উদ্ধারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী দাস, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রকল্প পরিচালক ড. তারিক বিন ইউসুফ, স্থপতি ইকবাল হাবিব উপস্থিত ছিলেন।