ত্বক ও চুলের যত্নে মধু ব্যবহার করতে পারেন। তবে ত্বক ও চুলে মধু ব্যবহার সবার জন্য উপযোগী নাও হতে পারে।
অনেকের ত্বকে এলার্জি, ফুসকুড়ি ছাড়াও বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ব্যবহারের আগে রূপবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
তৈলাক্ত ত্বক
শীতে মধু তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে ভালো, তবে গরমের সময় ব্যবহার করা যাবে না। তৈলাক্ত ত্বকে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তারা ঘরে প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
প্যাক
ডিমের সাদা অংশ, হাফ চা চামচ মধু, লেবুর খোসা পেস্ট হাফ চা চামচ, ডালের বেসন ১ চা চামচ, ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ১৫ মি. রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকের জন্য সারা বছরই মধু খুবই উপকারী। এ ধরনের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক। তবে শীতে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তাই শীতে খুবই যত্নবান হতে হবে এ ধরনের স্কিনে।
প্যাক
ননিযুক্ত দুধে কাঠবাদাম ভিজিয়ে রেখে পেস্ট তৈরি করে এর সঙ্গে মধু ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে ১৫ মি. রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
চুল
চুল মেয়েদের সৌন্দর্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সবাই চায় নিজের চুল যেন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়। তবে সঠিকভাবে এর যত্ন নিলে চুল হয়ে উঠবে আকর্ষণীয় ও মসৃণ। শীতে কারও কারও ক্ষেত্রে মাথার স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়, আবার কারও কারও ক্ষেত্রে তৈলাক্ত হয়। যাদের স্ক্যাল্প বেশি শুষ্ক, তারা যদি নিয়মিত প্যাক ব্যবহার করেন, তা হলে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
দুই টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে নিমপাতার পেস্ট, মৌরি ১ টেবিল চামচ, মসুরের ডালের গুঁড়া নিয়ে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে পুরো মাথায় স্ক্যাল্পে লাগাতে হবে। এতে করে খুশকি দূর হবে এবং আর্দ্রতা বজায় থাকবে।