গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট (র্যাপিড ডট ব্লট) কার্যকর নয় বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। বুধবার দুপুরে বিএসএমএমইউর মিল্টন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে এই তথ্য দেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য ড. কনক কান্তি বড়ুয়া। এ সময় গণস্বাস্থ্যের কিটের সক্ষমতা যাচাই কমিটির প্রতিবেদন গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রোগ শনাক্তকরণের গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকরী নয়। উপসর্গের প্রথম দুই সপ্তাহে (তাদের) কিট ব্যবহার করে শুধুমাত্র ১১ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর করোনা শনাক্তকরণ সম্ভব।
এর আগে সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা তেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পারফরমেন্স কমিটি। ওই ‘র্যাপিড’ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য গঠিত কমিটির প্রধান অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়ার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
চলতি বছরের ১৭ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় কিট উৎপাদনের কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১৯ মার্চ কিট উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ এই কিট তৈরি করেন।
২৫ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের কাছে করোনা টেস্টের কিট হস্তান্তর করা হয়। বেশ কিছু দিন কিট পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের পর ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের থেকে বিএসএমএমইউ বা আইসিডিডিআর,বিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ২ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।