করোনায় আক্রান্ত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম শ্বাস নিতে পারছেন না। এমনকি চিকিৎসকরা তার শরীরে চিমটি কেটেছেন, তাতেও কোনও সাড়াও দিচ্ছেন না তিনি। মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসায় গঠিত ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের হৃদযন্ত্র এখনও সক্রিয়। তবে রক্তচাপ উঠানামা করছে।’
ডা. কনক কান্তি বলেন, ‘মানুষ সাধারণত মিনিটে ১৮ থেকে ২০ বার নিঃশ্বাস নেয়। কিন্তু মোহাম্মদ নাসিম নিজ থেকে কোনও শ্বাসই নিতে পারছেন না। আমরা লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে তার শ্বাস-প্রশ্বাস সচল রেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘নিজে থেকে মোহাম্মদ নাসিম কোনও সাড়াই দিচ্ছেন না। তার শরীরে চিকিৎসকরা চিমটি কেটেছেন, তাতেও তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। গত ৫ দিন ধরে ডিপ কোমায় আছেন তিনি।’
গত সোমবার (১ জুন) শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর স্পেশাইজড হাসপাতালে ভর্তির পর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস পজিটিভ আসে মোহাম্মদ নাসিমের। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের আইসিইউতে ব্রেন স্ট্রোক হয় নাসিমের। শুক্রবার তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর তাকে আইসিইউতে অচেতন অবস্থায় রাখা হয়।
অপারেশনের পর চিকিৎসকরা নাসিমকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে সেটি বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা করা হয়।
গতকাল সোমবার (৮ জুন) নাসিমের আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে থাকার ৭২ ঘণ্টা পূর্ণ হচ্ছে। এর আগে গত শনিবার তার ছেলে তানভির শাকিল জয় জানিয়েছিলেন, আইসিইউতে ৭২ ঘণ্টা পার হলে চিকিৎসকরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
গত সোমবার ডা. কনক কান্তি জানিয়েছিলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পালস শনি ও রবিবার একই রকম ছিল। তিনি ভেন্টিলেশনে আছেন। শ্বাস-প্রশ্বাস আগে যে রকম ছিল সেরকমই আছে। অবস্থার কোনও উন্নতি নেই।
তিনি বলেছিলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের জ্ঞান কখন ফেলে সেটি বোঝা যাচ্ছে না। তিনি কোমায় আছেন। তিনি কারও ঈশারায় সাড়া দিচ্ছেন না। সিটি স্ক্যান করার মতো অবস্থায় নেই তিনি। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সিটি স্ক্যান করা হবে।’