ঘূর্ণিঝড়ের সময় কী করবেন, কী করবেন না

উপকূলের দিকে ২২০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। কিছুটা দিক পরিবর্তন করলেও আজ বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি সুন্দরবনের পাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঝড় চলাকালীন এবং ঝড় থেমে গেলে কী কী করবেন বা কী করবেন না দেখে নিন-

১. ঝড় শুরু হলে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন।

২. বাড়ির সব দরজা জানালা বন্ধ রাখুন।

৩. ঝড়ের ফলে বিচ্ছিন্ন হতে পারে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ফলে আগে থেকেই মোবাইলে যথেষ্ট চার্জ দিয়ে রাখুন।

৪. বাড়িতে ধারালো কোনও জিনিস খোলা অবস্থায় থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। ঝড়ের মধ্যে বাড়িতে কোনও ধারালো জিনিস উন্মুক্ত রাখবেন না।

৫. পোষ্যদের বাঁধনমুক্ত করুন। যাতে বিপদ বুঝলে ওরাও নিরাপদ স্থানে যেতে পারে।

৬. ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে যদি কোনোভাবে বাড়ির বাইরে থাকেন, খোলা রাস্তায় বা গাছের নীচে দাঁড়াবেন না।

৭. বাড়ির বাইরে থাকলে ঝড় শুরু হলে দ্রুত আশ্রয় নিন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বা জীর্ণ পাকা বাড়ি এবং কাঁচা বাড়িতে আশ্রয় নেবেন না। বিপদ বুঝে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ আশ্রয় বা পাকা বাড়ি খুঁজে নিন।

৮. ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে এমন কোনো বাড়িতে আশ্রয় নেবেন না। ছিঁড়ে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে হাত দেবেন।

৯. ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতার মধ্যেও সতর্ক থাকুন করোনাভাইরাস নিয়ে। মাস্ক পরতে এবং বার বার সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।

১০. যদি দুর্যোগের পরে কোনো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র বা অন্যান্য সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হয়, সেখানেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।

১১. যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে বিভিন্ন সংক্রামক অসুখ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই চেষ্টা করুন বিশুদ্ধ পানি পান করতে।