নোভেল করোনাভাইরাস নতুন নতুন রূপে দেখা দিচ্ছে। একদিকে এই রোগের উৎস, কারণ নিয়ে গবেষণা চলছে। অপরদিকে ক্রমাগত জিনের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে কোভিড-১৯ জীবাণু।
ফলে চিন্তা বাড়ছে গবেষকদের। এরসঙ্গে যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন উপসর্গ। জ্বর, সর্দি, কাশি বা গলাব্যথাই নয়, আরও ছটি নতুন উপসর্গের কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যা চিকিৎসকদের চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বে আতঙ্কের একটাই নাম করোনাভাইরাস। একেবারে নতুন এই ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ হিসাবে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টকেই চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও উপসর্গহীন রোগীরাও ভাবনার বড় কারণ।
একদল বিশেষজ্ঞের দাবি, উপসর্গহীন রোগীদের জ্বর, সর্দি ও কাশি হয় না ঠিকই। তবে তাদের স্বাদ এবং গন্ধ বোঝার ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে এবং চোখও লালচে হয়। তারা বুঝতে পারেন না বলে ব্যবস্থা নেওয়াও সম্ভব হয় না। অথচ উপসর্গহীন রোগীর সংস্পর্শে আসা প্রায় প্রত্যেকেরই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে যথেষ্ট।
আর সে কথা শোনাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সংস্থা দি সেন্টার’স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের নতুন গবেষণাও। তারা বলছেন, করোনার আরও ছ’টি নতুন উপসর্গ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দেহের তাপমাত্রা কমে যাওয়া। ঠান্ডায় কাঁপুনি দেওয়া, পেশিতে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা ও গলায় ব্যথা।
এই তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে জিহ্বার স্বাদ হারিয়ে ফেলা কিংবা গন্ধ না পাওয়া। অর্থাৎ স্বাদ ও ঘ্রাণ পাওয়ার কাজ করা বন্ধ করে দেবে। এমনকী, হজমের গোলমালও দেখা দিতে পারে। দেখা দিতে পারে, ডায়েরিয়াও। মাথা ও কিডনিতে রক্ত জমাট বাঁধছে। এর জেরে স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।