হাঁচি-কাশির মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানো ও সংক্রমণ রোধ করতে মাস্ক পরার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বিশজূড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) তাদের নির্দেশিকায় মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে। বাংলাদেশেও মাস্ক পরা নিয়ে কঠোর নিরদেশনা রয়েছে। রাস্তায় মাস্ক ছাড়া বেরোলে জবাবদিহির মুখে পড়তে হয় নাগরিকদের।
করোনার এই সময়ে মাস্ক শহর কিংবা গ্রামের মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে ঊঠেছে।।এই মাস্কের আছে রকমভেদ। কিছু মাস্ক একবার ব্যবহারযোগ্য। কিছু আছে বারবার ব্যবহার করা যায়। সাধারণ মানুষ দ্বিতীয়টি ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু বারবার ব্যবহারের কারণে মাস্ক ময়লা হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। অপরিষ্কার মাস্কের মাধ্যমেও যে কেউ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই মাস্ক পরিষ্কার রাখা জরুরি। কিন্তু যেনতেনভাবে পরিষ্কার করলে হবে না।
চলুন জেনে নিই কীভাবে পরিষ্কার করবেন মাস্ক
যদি সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করেন, তাহলে একবার পরে ফেলে দিতে হয়। কিন্তু এন৯৫ (চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য) ও সুতির কাপড়ের মাস্ক বা টেরিলিন কাপড়ের মাস্ক এমনকি ঘরোয়া উপায়ে বানানো মাস্ক পরলে নির্দিষ্ট রীতি মেনে এইগুলো পরিষ্কার করতে হয়।
বাড়ি ফিরে মাস্ক খোলার সময় সরাসরি মাস্কে হাত দেবেন না। ফিতা বা রাবার ব্যান্ডের অংশ ধরে মাস্ক খুলুন। এবার তা সাবান পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর হালকা কেচে ধুয়ে নিলে মাস্ক জীবাণুমুক্ত হবে।
কাচার পর জীবাণুনাশক লোশনে ডুবিয়ে ঝুলিয়ে রাখুন। ফিতা বা রাবারের ব্যান্ড আংটা ধরে ঝুলবে। শুকানোর সময় মাস্কের মূল অংশে ধুলোবালি যেন না লাগে।
আর একটি উপায়ে মাস্ক জীবাণুমুক্ত করা যায়। চুলায় লবণ মেশানো পানিতে মাস্ক ফেলে ফুটিয়ে নিয়ে। তাতেও সহজেই জীবাণুমুক্ত হবে মাস্ক। এ ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনে মাস্কটি কড়া রোদে শুকাতে হবে।
এরপর পাচ-সাত মিনিট ইস্ত্রি করে নিলে ফের ব্যবহার করা যাবে মাস্কটি।
খেয়াল রাখুন
কখনোই ভেজা মাস্ক পরবেন না। এতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।