পরকীয়ার কারণে ৬ বছরের শিশু কন্যাকে প্রাণে মেরে ফেললেন প্রবাসীর স্ত্রী

পরকীয়ার জেরে ৬ বছরের শিশু কন্যা সুমাইয়া আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মা তামান্না আক্তারের বিরুদ্ধে। নওগাঁর রঘুনাথপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মা পলাতক থাকলেও সন্ধ্যায় তাকে জেলার ধামুইরহাট থেকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৭ মার্চ) সদরের শিকারপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে। সুমাইয়া ওই গ্রামের প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। সিরাজুল ইসলাম তিন বছর যাবত সৌদি প্রবাসী। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৭ মার্চ) খাওয়া-দাওয়া শেষে সিরাজুল ইসলামের মা রশিদা এক ঘরে শুয়ে পরেন।

অন্য ঘরে সুমাইয়া ও তামান্না ঘুমিয়ে পরেন। সকালে রশিদা ঘুম থেকে উঠে ছেলের বউ এবং নাতনিকে দেখতে না পেয়ে ডাকাডাকি করেন। তাদের সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢোকেন। এ সময় সুমাইয়ার খাটের ওপরে শুয়ে থাকা দেখতে পেলেও তার মা তামান্নাকে পাওয়া যায়নি। সুমাইয়ার শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ায় পরিবার ও প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তখন নিশ্চিত হন সুমাইয়া মারা গেছে। এরপর পুলিশে সংবাদ দেন।

পুলিশ সংবাদ পেয়ে সুমাইয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, এ সময় ওই ঘরের মধ্যে বিছানার চাদর অগোছালো ছিল। ঘরের মধ্যে সিগারেটের প্যাকেট ও ৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সুমাইয়ার বাবা দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসে অবস্থান করার সুযোগে তামান্না এলাকার বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে পরকীয়ার জড়িয়ে পড়েন। একাধিক পুরুষের সঙ্গে তিনি প্রায়ই ঘুরতে যেতেন। এ নিয়ে একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তাতে কান দেননি তামান্না।

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দি হোসেন জানান, তামান্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত সুমাইয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে-পরকীয় দেখে ফেলায় সুমাইয়াকে শ্বাস রোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত এই হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে।