লকডাউন শিবচর: ঝুঁ’কিপূর্ণ ৪টি এলাকার পথে পথে পুলিশের পাহারা

একসময় ছিলো প্রা’ণচাঞ্চল্য মাদারীপুরের শিবচর উপজে’লায়ে এখন সেই শহরে শুনসান নিরবতা। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। এই জনপদে ক’রোনাভা’ইরাসেের প্রভাব পড়েছে। প্রবাসী অধ্যুষিত এই এলাকা সারা দেশের মধ্যে এখন ক’রোনা ঝুঁ’কিতে শীর্ষে রয়েছে।

মাদারীপুর জে’লা প্রশাসন বলেছেন ক’রোনা ঝুকির কারণে নাগরিকদের চলাচলে বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। ভাই’রাস সংক্রমন রোধে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজে’লার ঔষধ,কাচামাল ও মুদি দোকান ছাড়া সবধনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, গণজমায়েত ও লোকাল পরিবহন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজে’লা প্রশাসন।

জে’লা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচরে ‘লকডাউনের’ পর অধিক ঝুঁ’কিপূর্ণ বিবেচনা করে উপজে’লার ৪টি এলাকায় প্রায় ১২ হাজার মানুষ কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছে। এসব এলাকার প্রবেশপথ ও বাহির হওয়ার পথে গতিরোধ নিয়ন্ত্রণ করতে ১৬টি পয়েন্টে প্রায় ২৫০ জন পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। ক’রোনা আ’তঙ্কে মানুষের হাটবাজারগুলোতে আনাগোনাও কমে গেছে। মানুষ ঘর থেকে প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা বের হচ্ছে না। পুরো শিবচর উপজে’লায় খাদ্য ও ও’ষুধ ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও কয়েকটি দোকান খোলা রাখায় আর্থিক জরিমানা করা হয়ে থাকে। ফলে রাস্তায় নেই বললেই চলে লোকজনের সমাগম।

প্রশাসনে ক’ঠোর নির্দেশনা থাকলেও মাদারীপুর জে’লার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রবাসী আসে। যাদের অধিকাংশই হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থা না করে প্রকাশ্যে চলাফেরা করে। ফলে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন থেকে শিবচর উপজে’লায় কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এরমধ্যে অধিক ঝুঁ’কিপূর্ণ ৪টি এলাকা প্রশাসনের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। যে সকল প্রবাসীরা মানবেন না তাদের জন্য বা’ধ্যতামূলক শিবচর শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখার নির্দেশ রয়েছে। এদিকে দুটি মুদি দোকান খোলা রাখায় ২০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।

এব্যাপারে মাদারীপুরের জে’লা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, শিবচরের ৪টি এলাকা ক’রোনা সংক্রমন রোধে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। এইসব এলাকায় প্রবেশ পথে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া তাদের বাইরে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যেসব এলাকায় বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেই এলাকার মানুষদের খাদ্য ও জরুরী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্বেচ্ছাস্বেবীদের মাধ্যমে পৌছে দেয়ার উদ্যেগ নিয়েছে জে’লা প্রশাসন। এছাড়াও গরীব মানুষের খাদ্য সহয়তার জন্য রিলিফের ব্যবস্থাও করা হবে বলে তিনি জানান।