ঢাকাবাসীর স্বার্থ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করব: তাপস

ঢাকাবাসীর স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, আমি সবাইকে নিয়েই কাজ করতে চাই।

নগর ভবনের দরজা সবার জন্য সব সময় খোলা থাকবে। আমরা দলমত নির্বিশেষে, রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে কাজ করতে চাই। যেটা ঢাকাবাসীর স্বার্থে এবং উন্নয়নে হবে- আমরা সেটাই করব।

নির্বাচনের পরদিন রোববার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডিতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাপস এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ বিএনপির যে প্রার্থী (ইশরাক হোসেন) পরাজিত হয়েছেন তার প্রতি সমবেদনা রইল।

আমি আশা করব, উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে তারাও আমাদের সহযোগিতা করবে। তাদের প্রতিও আমাদের শুভ কামনা রইল। আমাদের কারও প্রতি কোনো বিদ্বেষ নেই। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে চাই।

নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী করায় ঢাকাবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের প্রতি জয় উৎসর্গ করেন শেখ তাপস। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস ছিল ঢাকাবাসী উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে সাড়া দেবে। সেই সাড়া আমি গতকাল (শনিবার) পেয়েছি।

আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ও দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে ঢাকাবাসীর কাছে এসেছিলাম, নগরবাসী সেই রায় দিয়েছে। এই ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা কাজ আরম্ভ করব। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটি নবসূচনা করব এবং ঢাকাবাসীর প্রত্যাশিত যে নগরী- তেমনি একটি উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে সততা, নিষ্ঠা এবং একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করব।

এ সময় নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে লাগানো পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন সোমবারের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে নির্বাচিত কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, আমাদের অনেক কাজ রয়েছে, অনেক কিছু করার রয়েছে।

আমরা চাই একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী। বিএনপির হরতাল প্রসঙ্গে তাপস বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। ঢাকাবাসী যে রায় দিয়েছে সেটার বিরুদ্ধে এরকম একটা হরতাল ডেকে ঢাকাকে অচল করার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে। আমি এর নিন্দা জানাই। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

তিনি বলেন, ঢাকাবাসী তাদের রায় দিয়েছে। এটাকে সবাই সম্মান করা উচিত ছিল। আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি। জনগণের রায়কে এভাবে প্রত্যাখ্যান করা ঠিক হয়নি।

মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কোন বিষয়টিতে নজর দিতে চান- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তাপস বলেন, প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে মৌলিক সেবাগুলো ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছাতে চাই। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই কাজ আরম্ভ করব।