পল্লী বিদ্যুতের প্রি-পেইড বিল পরিশোধ করা যাবে বিকাশে

এখন পোস্টপেইড গ্রাহকদের পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুতের প্রিপেইড গ্রাহকরাও বিকাশে যে কোন সময় যেকোন স্থান থেকে ঝামেলা ছাড়াই প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে পারবেন।
এর ফলে সারাদেশে পল্লী বিদ্যুতের পোস্টপেইড এবং প্রিপেইড সেবা ব্যবহারকারী পৌনে তিন কোটি গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ আরো সহজ হল।
নতুন এই সেবা চালু হওয়া উপলক্ষে আগামী ছয় মাস পল্লী বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে গ্রাহককে বাড়তি কোন চার্জ দিতে হবে না।
প্রিপেইড মিটারের ব্যালেন্স শেষ হওয়া মাত্রই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই প্রয়োজন হয় তাৎক্ষণিক রিচার্জের। এক্ষেত্রে বিকাশে তাৎক্ষণিক যে কোন স্থান থেকে বিল পরিশোধের সুযোগ প্রিপেইড গ্রাহকদের আরো নিরবিচ্ছিন বিদ্যুৎ সেবা উপভোগে সহায়তা করবে।
সারাদেশে পল্লী বিদ্যুতের ৯ লাখেরও বেশি প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকের বিল পরিশোধ ঝামেলামুক্ত, সহজ, সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ করতে সম্প্রতি দেশের বৃহত্তম মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে (বাপবিবো) এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব মো. আসাফউদ্দৌলা এবং বিকাশে এর চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বিকাশ অ্যাপের পে-বিল অপশন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ, প্রিপেইড মিটার নির্বাচন করে গ্রাহক নম্বর ও টাকার পরিমান দিয়ে খুব সহজেই বিল পরিশোধের সুযোগ পাবেন গ্রাহক। তাৎক্ষনিক ভাবেই বিল পরিশোধ হয়ে যাবে এবং গ্রাহক পুনরায় বিদ্যুৎ সেবা পাবেন। গ্রাহক চাইলে *২৪৭# ডায়াল করে কিছু ইন্টারঅ্যাকটিভ ধাপ অনুসরণ করেও প্রিপেইড বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মো: ফাহিম উদ্দিন বলেন, বিকাশ এর মাধ্যমে তাৎক্ষনিক রিচার্জ করার সুবিধা প্রিপেইড মিটারের জনপ্রিয়তা আরো বাড়াবে বলে আমরা মনে করি। যা সার্বিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনবে।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বিকাশের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতের পোস্টপেইড বিল পরিশোধ সেবা চালু হয়। সারাদেশের গত ১ বছরে ১ কোটির বেশি গ্রাহক বিকাশের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতের পোস্টপেইড বিল পরিশোধ সেবা নিয়েছেন।
পৌনে তিন কোটি গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান এবং এর প্রায় সকল গ্রাহকই গ্রামে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেন, যেখানে বানিজ্যিক ব্যাংকের শাখা খুবই সীমিত বা নেই বললেই চলে।