নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় পোশাক শ্রমিক মিজানুর সিকদার মিশরকে (২৯) কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাতে বন্দর থানার ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মিজানুর সিকদার মিশর বন্দর থানার ২৪নং ওয়ার্ডের কাইতাখালি শিকদারবাড়ি এলাকার মৃত সফিউদ্দিন সিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাঈদ সিকদার সানী বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিঠু (২৭), নোয়াদ্দা এলাকার মঞ্জুর হকের ছেলে মুন্না (২০), নোয়াদ্দা কাইতাখালি এলাকার আলী হোসেন মিয়ার ছেলে জিসান (২০), একই এলাকার শাহ আলম মিয়ার ছেলে শাকিব (১৮) ও নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে শ্যামল (৩০)। এ ঘটনায় জড়িত অপরজন পলাতক রয়েছেন।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, আগামী শুক্রবার মিজানুর সিকদার মিশরের বড় ভাই সানি সিকদারের বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। বড় ভাইয়ের বিয়ে খেতে ছোট ভাই মিজানুর রহমান সিকদারসহ পরিবারের লোকজন রোববার গাজীপুর থেকে বাড়িতে আসেন। সোমবার রাতে মিজানুর রহমানকে কয়েল আনতে দোকানে পাঠান মা। দোকানে গিয়ে দেনাদার মিঠুর সঙ্গে তার দেখা হয়। ওই সময় মিজানুর রহমান দেনাদার মিঠুর কাছে পাওনা টাকা দাবি করেন।
বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাদের হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে মিঠুসহ কয়েকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মিজানুর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায়, মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে মাঠে ফেলে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বন্দর থানা পুলিশের ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর খুনিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।