বিবাহিত জীবনে প্রথমবার মিলনে যে সব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন

প্রেমের বিয়ে কিংবা বাবা-মায়ের ঠিক করা মেয়ের সাথে বিয়ে – অবস্থা যাই হোকনা কেন প্রথমদিকে যেকোনো মেয়ে লজ্জায় আড়ষ্ট থাকেবেই।

বিশেষ করে পরিবারের ঠিক করা বিয়েতে অপরিচিত একজন পুরুষের সাথে একত্র বসবাস কেউ কি অতি সহজে নিতে পারবে? প্রথমবার শাররীক মিলনে নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

আপনি হয়তো দ্বিতীয় কিংবা পরের বারের মিলনগুলো খেয়াল রাখবেন না – কিন্তু প্রথম মিলন সব যুগলেরই মনে থেকে যায়। প্রথম মিলন আশ্চর্য্যজনক ভালো কিংবা ফ্লপ যাই হোক স্বামী-স্ত্রী প্রথম মিলনকেট্রেজেডি হিসেবেই মনে রাখে।

সঠিক সংকেতের জন্য অপেক্ষা করুনঃ

প্রথম মিলন সর্বনাশা হতে পারে যদি মানসিক প্রস্তুতির সংকেত দেয়া-নেয়ায় ভুল বুঝাবুঝি থাকে। যেহেতু আপনারা দুইজনেই সারা জীবনের জন্য বিবাহের মাধ্যমে একটি সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাই বাসররাতে কথা বলা কিংবা ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্কের স্বাভাবিকতা এবং পরষ্পরের মানসিক দুরত্ব কমিয়ে আনুন।

দুজন-দুজনের চিন্তা চেতনার একটি স্বরুপ জেনে নিন। তাড়াহুড়ো করবেন না। আমাদের দেশে “বাসর রাতে বিড়াল মারা” বলে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। পুরুষ অনেকটা মরিয়া হয়ে যান নিজেকে বাঘ বলে জাহির করতে।

কিন্তু বিড়াল মারার সুত্রটা আসলে আমাদের একপ্রকার ভুল ধারনার জন্ম দিচ্ছে। অনেক মেয়ে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকেনা – সেই অবস্থায় যদি স্বামী বিড়াল মারতে যায় তাহলে বিষয়টি রেপ করার মত হয়ে যায়।

ভারতের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বাসররাতে স্বামী-স্ত্রী শাররীক মিলন না করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে আপনি কিভাবে আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে স্বাভাবিক হবেন তা আপনার বিবেচনায় রাখবেন আগে থেকে।

জন্মনিরোধকের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখুনঃ

প্রথমবারের শাররীক মিলনে বিবাহিত যুগলের জন্মনিরোধক ব্যবহার দুজনের জন্য সমানভাবে মঙ্গলজনক। হয়তো কনডম কিংবা খাবার বড়ি ব্যবহার না করার ফলে আপনাদের “যৌন বাহিত ছোঁয়াচে রোগ” কিংবা “গর্ভধারনের” ভয়ে মিলনের আসল আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে।

প্রথমদিন যৌন বাহিত ছোঁয়াচে রোগ থেকে রক্ষা পাবার জন্য কনডম ব্যবহারই সবছে ভাল – যদিও এটি ১০০% আত্মরক্ষা মুলক নয়। তাছাড়া আপনার স্ত্রী হয়তো মা হবার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত নয়। তাই বিয়ের পর পরষ্পরের শাররীক সমস্যার (যদি থাকে) ইতিহাস জেনে এবং সন্তান নেয়ায় দুই জনের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী নিয়ন্ত্রনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।

কোন ভাবেই স্বয়ং-সম্পুর্ন মিলনের প্রত্যাশা করবেন নাঃ

৮০% থেকে ৯০% ক্ষেত্রে প্রথম মিলনে যুগলের বিন্দুমাত্রও সফলতা থাকেনা। শাররীক মিলন যতটা না শরীরের; তার চেয়ে বেশি মানসিক মিলন। একজন মানুষ যখন অন্য মানুষের শরীর / ভাললাগার বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুর্নমাত্রায় জানে – তখনি শুধু সুখকর যৌনমিলন সম্ভব। প্রথম মিলনে পরষ্পরের ভাললাগার অনুভুতিগুলোর সংমিশ্রন হয়না।

তাছাড়া প্রথম মিলন সম্পর্কে পুরুষ/নারী এত বেশি দুশ্চিন্তা অথবা পুর্বপরিকল্পনা করে যে সে মূল কাজে এসে নার্ভাস হয়ে যায়। আর পরিকল্পনা অবস্থা/ব্যক্তি বেধে পার্থক্য হয় – তাই আগ থেকে করা প্ল্যান কার্যকর করা নাও যেতে পারে।

তাই সময়ের সাথে চলুন। অন্তরঙ্গ মুহুর্তে অর্জিত ভাললাগাগুলো উপভোগ করুন। প্রথম রাতে আপনার প্রিয়জনের শরীর সম্পর্কে জানার চেয়ে বড় রোমাঞ্চকর আর কি হতে পারে। সম্পর্কে সময় দিন – পরষ্পরের শরীর সম্পর্কে যত জানবেন মিলন তত বেশি উপভোগ্য হবে।

গভীর নিঃশ্বাস নিনঃ

প্রথমবারের মত কারো সাথে শাররীক মিলন করতে গেলে চিন্তিত এবং অস্বত্বিতে পড়তে পারেন। আপনার শরীর এবং মনকে প্রশান্ত করার জন্য বড় করে নিঃশ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন।

ঠিকঠাক কাজ করার জন্য আপনার মস্তিস্কের প্রয়োজনীয় মাত্রায় অক্সিজেন দরকার। মানসিক চাপেঠিকমত শ্বাস-প্রশ্বাস না নিলে অনেকগুলো সমস্যা যেমন মাথাধরা, মাথাব্যথা সহ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে পারেন।

এটি খুবই লজ্জাজনক হবে যদি আপনি সামান্যতম যৌনমিলনও করতে না পারেন। স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিন – মনকে চিন্তামুক্ত রাখুন। প্রথম মিলেনে বিড়াল মারার আইডিয়া বাদ দিন।

স্বাভাবিক আচরন করুন – আপনি আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে আছেন – যার সাথে আপনার সারাজীবন সামনে পড়ে আছে। প্রথম রাতকে স্বরনীয় করে রাখতে বিড়াল না মারলেও সমস্যা নেই। তাকে ভরসা দিন আপনি তার জন্য কতটা।

কোনভাবেই পুর্ন-যৌন-তৃপ্তির মিথ্যে ভান করবেন নাঃ

পুর্ন-যৌন-তৃপ্তির মিথ্যে ভান করা আপনার নিজের সাথে এবং আপনার সঙ্গীর সাথে প্রতারণা করার শামিল। এটি হয়তো পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, কারন বস্তুত আপনি ভুল তথ্য আদান-প্রদান করেছেন “আপনার শরীর কি চায় এবং কিসে আপনাকে যৌন ক্ষুদার্ত করে তোলে?”