গোপন খবর ফাঁস রিফাতকে বিয়ের পরও প্রথম স্বামী নয়নের সঙ্গে মিন্নির সম্পর্ক ছিল

ঢাকা : বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি খুনের পরিকল্পনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

এছাড়া রিফাতের সাথে বিয়ের পরও নয়ন বন্ডের সাথে মিন্নি যোগাযোগ রাখতো এবং তাদের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশের ভাষ্য। খবর ইউএনবির।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, ‘রিমান্ডে থাকা আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সাথে জড়িত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।’

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির দাবি করেছেন, ‘রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নি আগে নয়ন বন্ডের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। এ বিয়ের কথা গোপন রেখে এবং তাকে তালাক না দিয়েই রিফাত শরীফকে বিয়ে করে মিন্নি। বিয়ের পরও মিন্নি তার প্রথম স্বামী নয়ন বন্ডের সাথে যোগাযোগ ও অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে।’

তিনি বলেন, ‘রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের আগে এবং পরে মিন্নির সাথে আসামিদের ফোনালাপ ও ম্যাসেজ আদান প্রদান হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার পূর্বে রিফাত শরীফ কলেজ এলাকা ত্যাগ করতে চাইলেও মিন্নি কৌশলে তাকে যেতে দেয়নি এবং রিফাতকে যখন সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে যাচ্ছিল তখন মিন্নি নির্লিপ্ত থেকে তাদের পেছনে পেছনে হেঁটেছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, মিন্নি রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। এ কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে মিন্নি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অন্যান্য আসামিকেও মুখোমুখি করা হবে।’

এদিকে মামলার তিন নম্বর আসামি রিশান ফরাজিকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রিফাত হত্যা মামলায় এ নিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

তাদের মধ্যে আটজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সর্বশেষ বুধবার বিকালে আসামি এরিয়ান শ্রাবন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গত ২ জুলাই ভোররাতে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বুধবার বিকালে আদালতে নেয়া হলে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

সোনালীনিউজ