বরগুনা প্রতিনিধি
আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবিতে সম্মেলন করেছেন নিহত রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। শনিবার (১৩ জুলাই) রাত আটটার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ তার লিখিত বক্তব্যে ছেলের হত্যার পেছনে মিন্নির জড়িত থাকার ১০টি কারণ উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি তার ছেলে রিফাত হত্যার সাথে জড়িত। তার দাবিগুলো হচ্ছে-
১. নয়নের সাথে বিয়ের ঘটনা সে ও তার পরিবার সুকৌশলে গোপন করে গেছে।
২. বিবাহ বলবৎ থাকা অবস্থায় শরিয়া বহির্ভূতভাবে মিন্নি তার ছেলেকে বিয়ে করেছে।
৩. রিফাতের সাথে বিয়ের পরেও মিন্নি নয়নের বাসায় আসা-যাওয়া ও যোগাযোগ রক্ষা করতো।
৪. রিফাত হত্যার আগের দিন ২৫ জুলাই মিন্নি নয়নের বাসায় গিয়েছিলো।
৫. মিন্নি প্রতিদিন একা একা কলেজে গেলেও ২৬ জুলাই রিফাতকে ডেকে কলেজে নিয়ে গেছে।
৬. রিফাত তার স্ত্রী মিন্নিকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চলে আসতে চাইলেও মিন্নি কৌশল করে কালক্ষেপন করেছে।
৭. রিফাতকে যখন রিশান ফরাজী দলবল নিয়ে জাপটে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে ছিলো।
৮. রিফাতকে কোপানোর সময় মিন্নি আসামিদের জাপটে ধরলেও মিন্নিকে আসামিরা কোপায়নি।
৯. আহত রিফাতকে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা না করে মিন্নি তার জুতা ও ব্যাগ ওঠাতে ব্যস্ত ছিলো।
১০. আহত রিফাতকে বরিশাল নেয়া হলেও মিন্নি তার সাথে যায়নি। তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করে বলেছেন, পুলিশ কেন এখন পর্যন্ত মিন্নিকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না? তার বিশ্বাস, পুলিশ মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের সত্যতা তথা প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে।
আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নয়ন বন্ডের সাথে তার বিয়ে হয়নি। জোরপূর্বক কাবিনে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিলো। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেছেন, খুনীদের বাঁচানোর জন্য তাকে জড়ানো হচ্ছে। তিনিও রিফাত হত্যাকারীদের বিচার চান।
বাংলাদেশ জার্নাল/