শুনতে হাস্যকর মনে হলেও একদম সত্যি ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। সেখানে সবাই এত কাজে ব্যাস্ত যে বাড়ির কাজ করার মত কারোর সময় নেই। তাই সেখানে সবাই বাড়ির যাবতীয় কাজের জন্য আলাদা আলাদা লোক রেখে দেয়। কিন্তু তারা সবাই যে বিশ্বস্ত হবে এমন নয়। অবিশ্বাসী মানুষেই ভর্তি এই দুনিয়া। কাজ করতে এসে চুরি করে ধরা পড়ে একটি মেয়ে।
দশ কুড়ি টাকা নয়, সে চুরি করেছিলো লক্ষাধিক টাকা। বিশেষত যারা অন্যের বাড়িতে কাজ করে তারা গরীবই হয়। কিন্তু অনেক মানুষ গরীব হলেও তারা সৎ। সৎ থাকলে তবেই তাকে বিশ্বাস করে লোকে কাজ দেবে, কিন্তু অসৎ কাজ করলে কেউ তো নিজের বাড়িতে এরকম কাজের লোক রাখতে চাইবেনা।
যে মেয়েটি চুরি করেছে তার নাম সাধনা। খুব গরীব ঘরের মেয়ে তাই কাজ করে অন্যের বাড়ি। মেয়েটি মনীষা নামের একজনের বাড়িতে রান্নার লোকের কাজ করতো। সাধনা হঠাৎ একদিন তার আলমারিতে রাখা টাকা খুজে পাচ্ছিলনা। তখনই তার সন্দেহ হয় সাধনার ওপর।
সঙ্গে সঙ্গে সে জিজ্ঞাসা করে সাধনাকে। সাধনা তার মালকিনের প্রশ্নের সঠিক উত্তর না দিতে পেরে আমতা আমতা করতে থাকে। আর তখন মনীষা নিশ্চিত হয়ে যায় টাকাটা সাধনাই সরিয়েছে। তখনই সে তার ব্যাগ চেক করে, সেখানে কিছু না পেয়ে তার পড়ে থাকা জামাকাপড় চেক করে।
জামাকাপড় চেক করতেই মেয়েটির অন্তর্বাসের মধ্যে পায় এক লক্ষ টাকা, যা তার আলমারির মধ্যে থেকে হারিয়ে গিয়েছিলো। আর তার সঙ্গে পায় আলমারির চাবি। এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়ায় ঐ এলাকায়। তারপর মনীষা ও তার বাড়ির লোক মেয়েটিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
তারা বলে যে সাধনার থেকে চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার করা গেলেও তার গায়ে হাত তোলেনি মনীষা বা তার বাড়ির কেউ। এই প্রসঙ্গে মনীষা দেবী বলেছেন তারা কখনো সাধনাকে কাজের লোক হিসাবে দেখেনি। মেয়ে হিসাবেই সবসময় দেখেছে। তারা খুব ভালোবাসতো সাধনাকে।
সে এরকম কাজ কেন করেছে তার কোন উত্তর নেই। তবুও তার গায়ে হাত তোলেনি কেউ। তুলে দিয়েছে পুলিশের হাতে। যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে আইন। আইনের নিয়ম অনুযায়ী তার যা শাস্তি হওয়ার তাই হবে।