যে একটি খাবারেই দুর করবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা জেনে নিন এই অবিশ্বাস্য খাবারের নাম

ছোট বড় সবারই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কথা শোনা যায়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যে কত যন্ত্রণাদায়ক তা কেবল যারা ভোগেন তারাই ভালো বলতে পারবেন।অনেকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন, ডাক্তার দেখাচ্ছেন।

একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে মসলাযুক্ত খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তি। আর তাই ফাস্টফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে গ্যাস্ট্রিক, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

খেজুরের পুষ্টিগুণ

সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল। যা ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়।খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান।খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি। যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

আপনি জেনে খুশি হবেন যে, প্রতিদিন মাত্র তিনটি খেজুর আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করবে।

প্রতিদিন তিনটি খেজুর খান এক সপ্তাহ।তবে এক সপ্তাহ খাওয়ার পর খেজুর খাওয়া বন্ধ করবেন না। এটা অভ্যাসে পরিণত করুন।একবার যখন আপনি অভ্যাসে পরিণত করতে পারবেন তখন ভালো ফল পাবেন। অর্থাৎ আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

আপনি তিনটি খেজুর টানা সাতদিন খান।এই সাত দিনের মধ্যে একদিনও খেজুর খাওয়া বন্ধ করবেন না।টানা সাতদিন খেজুর খাওয়ার পর আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বিদায় নেবে।

খেজুর যে শুধু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করবে তা নয়।খেজুর রয়েছে আরও গুণ।খেজুর রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা, খাবারের রুচি ও হজমক্ষমতাও বাড়বে।এছাড়া যেকোনো ধরনের রোগে খেজুর হলো মোক্ষম দাওয়াই।

অন্ত্রের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের দারুণভাবে কাজ করে খেজুর।এটি কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, খেজুর খেলে কোলন স্বাস্থ্য ভালো হয়। খেজুর উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাই ব্যাকটেরিয়াগুলো কোলন ক্যানসারের জন্য দায়ী কোষগুলোকে ধ্বংস করে। এজন্য নিয়মিত খেজুর খান।