রিফাত হত্যার কিলিং মিশনে রিফাত ফরাজির চ্যাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস!

বরগুনায় প্রকাশ্যে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার পরিকল্পনাকারী নয়ন বন্ড হলেও কিলিং মিশনে মূল ভূমিকা পালন করে দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজি। সময় সংবাদের প্রকাশিত ঘটনার দিনের একটি সিসিটিভি ফুটেজে এ চিত্র দেখা গেছে।

পুরো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওইদিন সরাসরি ১৫ থেকে ২০ জন জড়িত ছিল। আর কিলিং মিশনে মূল ভূমিকা পালন করে দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজি। মাত্র ২ মিনিটের মধ্যেই তাদের মিশন শেষ করে চলে যায় ‘বন্ড বাহিনী’। সময় সংবাদের হাতে আসা একটি সিসিটিভির ফুটেজে পুরো ঘটনার এমনই তথ্য মিলেছে।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া রিফাত শরিফ ঘটনার দিন সকাল ১০টায় তার স্ত্রী মিন্নিকে নিতে সাদা একটি মোটরসাইকেলে কলেজে আসে।

১০টা ৩ মিনিটে বন্ড বাহিনীর প্রধান ঘাতক রিফাত ফরাজি ৬ থেকে ৭ জনকে নিয়ে কলেজ গেটের বাইরে গিয়ে অপেক্ষ করতে থাকে। দুই থেকে তিন মিনিট পরে আরো ২ থেকে ৩ জনকে কলেজে পাঠায় সে। ১০ টা ৯ মিনিটে ঐ ২ থেকে ৩ জনসহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে রাস্তার উল্টো পাশে অবস্থান নেয়। এক মিনিট পরে ঘাতক রিফাত ফরাজি গেটের কাছে এসে আরো দুটি ছেলেকে কিছু নির্দেশনা দিয়ে উল্টো দিকে পাঠায়।

১০ টা ১২ মিনিটে কলেজ থেকে বেরিয়ে রিফাত গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করে। ঠিক ১০টা ১৩ মিনিটে ঘাতক রিফাত ফরাজি নিহত রিফাত শরিফকে কলজেরে গেটে এসে বন্ড বাহিনীর সহায়তায় জোর করে নয়ন বন্ডের কাছে নিয়ে যায়।

সেখানে সবাই তাকে কিল ঘুষি মারতে থাকলেও রিফাত ফরাজি ও একজন দৌড়ে গিয়ে তিনটি রামদা নিয়ে আসে। রিফাতের দুই হাতের দুটি দায়ের একটি নয়নকে দেয় ও আরেকটি দিয়ে নিজেই কোপাতে শুরু করে।

১০ টা ১৫ মিনিটে নয়ন, রিফাতসহ বন্ড বাহিনী কলেজ গেটের সামনে থেকে চলে যায়। এ ঘটনার ৮ মিনিট পরে দু’জন পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে।