এরশাদ চান মৃত্যু আসুক শুক্রবারে

সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বিদেশ নেয়া যাচ্ছে না। পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের সিএমএইচ–এর চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে এরশাদের সকল রিপোর্ট মেইল করা হয়েছে। কিন্তু সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা এমন শারীরিক অবস্থায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়াকে সমর্থন করেনি।

গতকাল ফুসফুসের সংক্রমণ কমলেও এরশাদের শ্বাস কষ্ট হচ্ছিলো। আবার কিডনী কিছুটা কাজ করলেও তার শরীর থেকে বর্জ্য বের হচ্ছিলো না। তাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল সিএমএইচ–এর চিকিৎসকরা বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেন।

জি এম কাদের জানান, সিএমএইচ–এর চিকিৎসকরা নিরলসভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন তাকে সুস্থ করে তুলতে। নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে এরশাদের শারীরিক উন্নতি ও অবনতি বিবেচনায় চিকিৎসা দিচ্ছেন। দেশী–বিদেশী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন সিএমএইচ–এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

আপন ভাই ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের আশাবাদের কথা শোনালেও এরশাদের মৃত্যুর আগেই তার দল ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তার দাফনের স্থান নির্ধারণ নিয়ে। বুধবার সিনিয়র নেতারা এ নিয়ে সভাও করেছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কোনো এক সময় এরশাদ বলেছিলেন, মৃত্যু যেনো শুক্রবারে হয়, এটা তার আকাঙ্ক্ষা। আর তাকে যেনো মসজিদ-মাদ্রাসার পাশে দাফন করা হয়, এমনই ‘অছিয়ত’ করেছেন তিনি। এসব কথা উল্লেখ করে পারিবারিক সূত্র বলেছে, সবাই সম্মত হলে আজ শুক্রবার এরশাদের লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত হবে।

এসময় গতকাল জিএম কাদেরের সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভ্রান্তিকর কোন তথ্যে দেশবাসী ও গণমাধ্যম কর্মীদের বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানান। তিনি এরশাদের রোগমুক্তি এবং সুস্থতার জন্য দোয়া করতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। উৎস: আমাদের সময়.কম।