বরগুনার প্রকাশ্যে দিবালোকে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে বরগুনার পুরাকাটা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত নয়ন বন্ড বরগুনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কলেজ রোড এলাকার মৃত মো. আবুক্কর সিদ্দিকের ছেলে।
পুলিশ বলছে, বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের ৩ কর্মকর্তাসহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২টি শর্টগানের কার্তুজের খালি খোসা ও ৩টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেন, বরগুনা সদর থানায় কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান, ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুজ্জামান ও বরগুনা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মো. হাবিবুর রহমান।
এদিকে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করের বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারেছে, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা এলাকায় অবস্থান করছে। তারা পুরাকাটা সংলগ্ন পায়রা নদী দিয়ে ট্রলার যোগে বরগুনা সদর উপজেলা ত্যাগ করে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন তথ্য পাওয়ার পর বরগুনার পাথরঘাটা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিএম আশ্রাফ উল্যাহ তাহেরের নেতৃত্বে ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে পুরাকাটার ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় নয়ন বন্ড তার ৫-৭ জন সহযোগীকে নিয়ে পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। পরে আত্মরক্ষার জন্য পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
তিনি আরো জানান, ২ পক্ষের গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণকারীরা পিছু হটলে পুরাকাটা এলাকার মজিদ মিলিটারীর বাড়ির পূর্বপাশে পায়রা নদীর বেড়ি বাঁধের পাশে তল্লালি চলাকালে গুলিবিদ্ধ একটি মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ। এদিকে গোলাগুলির শব্দ পেয়ে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ডের বলে শনাক্ত করেন তারা।
এসময় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২টি শর্টগানের কার্তুজের খালি খোসা ও ৩টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, নয়নকে যারা প্রশ্রয় দিয়েছে এবং তার গ্রুপে যারা সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলেন তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
আরএ