বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে! আংটি বদল পর্ব মিটেছে৷ এবার ছাদনাতলায় বসার তোড়জোড়৷ গায়ে হলুদ-বিয়ে আর বৌভাতের ডেট ঠিক করা হবে৷ পাত্র হিসেবে আপনার কাজ কি?
প্রথম করনীয়:
মোবাইল নম্বর এতদিনে অবশ্যই আদান-প্রদান হয়েছে! এটা খুবই জরুরি। বিয়ের আগে অনেক কিছুই ফিক্স করা যাবে মোবাইলের মাধ্যমে। মানসিক-শারীরিক অনেক বিষয় আলোচনায় আসবে যা বিয়ে পরবর্তী জীবনের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। অপশনালঃ বিয়ের ডেট ঠিক করা নিয়ে একটু বলি। অনেকেই বিয়ের রাতে আবিস্কার করে যে তার নববধুর পিরিয়ড চলছে। সো এতদিনের “প্রথম রাতে বিড়াল মারা”র প্ল্যান কুপোকাত।
এটা যদিও খুব জরুরি কোন বিষয় না, পিরিয়ড শেষ হয়ে যাবে সর্বোচ্চ ৩-৪ দিনের মধ্যে। তারপর প্ল্যানমাফিক…তবে মেয়ে বা আত্মীয়াদের মধ্যে কারও সঙ্গে যদি ফ্রি থাকেন তবে একটা ট্রাই করা যেতে পারে। যেমন, আপনার বউদি আছে, তাকে বলুন যেন বিয়ের সময় মেয়ের কোন শারীরিক সমস্যা না থাকে। বউদিরা এই লাইনে “আকেলমন্দ”, তাই ইশারা বুঝে ঠিকই হবুবধুকে পরবর্তী পিরিয়ডের ডেট জিজ্ঞেস করে সেভাবে বিয়ের ডেট ফিক্সে ভুমিকা রাখতে পারেন। তারপরেও অনেক সময় বিয়ের টেনশনে অনেক সময় মেয়েদের অসময়ে পিরিয়ড শুরু হয়ে যায়। তাই আবারও বলছি এটা বড় কোন ইস্যু না।
দ্বিতীয় করনীয়:
হবু বধুর সঙ্গে খোলাখুলি মিশুন৷ মোবাইলে কথাবার্তা যেহেতু শুরু হয়ে গিয়েছে। এইবার তার সঙ্গে শারীরিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ শুরু করুন। তবে রয়ে-সয়ে। সরাসরি প্রথম ১/২ দিনেই শুরু করলে কিন্তু বিপদ। কীভাবে শুরু করবেন নিজেই চিন্তা করুন। মনে রাখবেন এই আধুনিক যুগে মেয়েরা কিন্তু সবই জানে। জানার সোর্স আপনার মতই। এটাকে নেগেটিভলি দেখার কিছু নাই। বরং পজেটিভলি দেখুন, ভাবুন তার এই জানা আপনার কাজকে সহজ করে দেবে। তবে মেয়েরা জানলেও প্রকাশ করবে না, কারণ তার মনে ভয় কাজ করবে যে আপনি তাকে ভুল বুঝতে পারেন। তাই প্রথম স্টেপ আপনি নিন। জানা বিষয় আলাপ শুরু করুন, তবে তত্ত্বীয় বিষয়গুলি৷
তৃতীয় করনীয়:
শারিরীক ভবে সুস্থ থাকুন ও শক্তিশালী হোন। না, কোন বটিকা বা তেল মাখার দরকার নেই৷ স্রেফ মধু খান প্রতিদিন এক চামচ করে। দুধে মিশিয়ে খেলে আরও ভালো। আর স্বাভাবিক খাবারতো খাবেনই। ভুড়িটাকে বেশি বাড়তে দেবেন না। ফুলশয্যার রাতে ফার্স্ট ইম্প্রেশনটা খারাপ হয়ে যাবে তাইলে। আর প্রচুর জল খান। চেহারা ফ্রেশ থাকবে। পররর্তী পর্বে আলাপ হবে সরাসরি ফুলশয্যার রাতের প্রস্তুতি নিয়ে। কি কি কিনতে হবে আর সঙ্গে রাখতে হবে।
চতুর্থ করনীয়:
লুব্রিকেন্ট বা জেল কিনে রাখুন। ভালো কোন ফার্মেসী থেকে লুব্রিকেন্ট কিনে রাখুন। বন্ধুরাও অনেক সময় গিফট দেয়, কিন্তু সে আশায় বসে থাকলে বিপদ। এই লুব্রিকেন্ট বলতে গাড়ীর লুব্রিকেন্ট বুঝানো হয় নি। এটা সার্জিক্যাল জেল। বড় ওষুধের দোকানে পাবেন৷ এই সার্জিকেল জেল না পেয়ে অনেকে নারিকেল তেল, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করে। এদুটোই কিন্তু রাফ, ইভেন কনডম ফেটে যেতে পারে। গ্লিসারিন কখনও র’ অবস্থায় ইউজ করবেন না। জল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। তবে গ্লিসারিনের ব্যবহার সাধারণত নিরুৎসাহিত করা হয়।
কেন ও কি ভাবে ব্যবহার করবেন: আমরা সবাই কম বেশি জানি যে অনাঘ্রাতা মেয়েদের যৌনাংগের প্রবেশপথটা খুব সরু থাকে। অর্থ্যাৎ চাইলেই সহজে সেখানে আপনার অঙ্গ প্রবেশ করবে না। এর সঙ্গে আছে হাইমেন বা বা সতীচ্ছেদ বা পর্দার প্রতিরোধ। তাই প্রথমদিকে প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হয়ে অনেক হতাশ হয়ে পড়ে। এটা নিয়ে টেনশন না করে আপনি প্রথমে আপনার এসাইনমেন্ট ঠিক করুন “প্রবেশ করাতে হবে”। এই সরু পথে জোর করেই প্রবেশ করতে হবে, জোর করা মানেই শক্তি প্রয়োগ, এবং স্বাভাবিক ভাবেই এতে আপনার সংগীনি ব্যাথা পাবে। তাই শক্তি প্রয়োগটা গোয়াড়ের মত না করে ভালোবাসার সঙ্গে করুন। দুইস্থানেই জেল লাগিয়ে এবার চেষ্টা করুন, একদিনে না হলে দুইদিনে হবে। আরো এক/দুইদিন বেশি লাগলেও পরিশ্রম কমবে, দুঃশ্চিন্তা কমবে, ব্যাথা কম পাবে, শুরু করা যাবে তাড়াতাড়ি।
কিছু ভুল ধারণা, প্রথমতঃ অনেকে প্রথম প্রবেশের সময় নববধুর কুমারীত্বের পরীক্ষা নেওয়ার ইচ্ছাও মনে মনে পোষন করে। ভুলেও একাজ করবেন না। একটা প্রচলিত ধারণা আছে কুমারী বা অনাঘ্রাতা মেয়ে মানেই সতীচ্ছেদ বা হাইমেন থাকবে, তাই স্বামীই সেটা বিদীর্ন করে বউনি করবে। এটা এই যুগে হাস্যকর। সাইকেল চড়লে-দৌড়াদৌড়ি-খেলাধুলা করলে হাইমেন ফেটে যাবেই, তাই সেটা ন্যাচারাল, স্বামীকে দায়িত্ব নিতে হবে না। কেউ হাইমেনের উপস্থিতি না পেলে আবার নববধু সম্বন্ধে খারাপ ধারণা করে বসে থাকবেন না। দ্বিতীয়তঃ আর একটা ভুল ধারণা হল রক্তপাত না হলে মেয়ে কুমারী না। এটা বিশ্বাস করা মুর্খতার সামিল। যদি হাইমেন ফেটে গিয়ে থাকে আগেই, বা আপনি যদি লুব্রিকেন্ট ইউজ করেন তবে অনেক সময়ই রক্তপাত নাও হতে পারে। তাই এসব কোন মানদন্ড না।
তৃতীয়তঃ বিভিন্ন পর্নো কাহিনী পড়ে অনেকের ধারণা হয় যে সেক্স করার সময় যোনীপথ পিচ্ছিল কামরসে ভেজা থাকবে, তাই উঠো..যাতো, আলাদা লুব্রিকেন্ট ইউজের প্রয়োজন নেই। আসলে ব্যাপারটা তা না। এই ফ্লুইডটা বের হবে উত্তেজিত হলেই। আর নতুন নতুন বাবা-মাকে ছেড়ে আসা ভয়-শংকা-লজ্জায় থাকা একটা মেয়ের পক্ষে উত্তেজিত হওয়া এত সহজ না। অনেকে তো প্রথম প্রথম কোন অনুভুতিই পায় না। তাই ফ্লুইড না বের হলে ভয়ের কিছু নেই, সময় নিন কয়েকদিন, এমনিই ঠিক হয়ে যাবে। চতুর্থতঃ স্তনের স্থিতিস্থাপকতা ও কোমলতা দেখেও অনেকে টাচড-আনটাচড কন্ডিশন বের করতে চান। শক্ত-টানটান হলে নাকি আনটাচড। এটা সবচে বড় বোকামি। মেয়েরা এমনিতেই শারীরিকভাবে নরম প্রকৃতির। তাই স্তনও নরম হতে পারে। রুপোলি পর্দার নায়িকার টান-টান বুক বউয়ের কাছে আশা করবেন না, কারণ বুক টানটান রাখতে শো’বিজের লোকেরা অনেক টাকা খরচ করে, কসরত করে৷
পঞ্চমতঃ টিনএজ থেকেই হস্ত-মৈথুনে অভ্যস্ত ছেলেরা অনেক সময় বিয়ের করতে ভয় পায়। ইউনানীর লিফলেট পড়ে আবিস্কার করে তার “আগা মোটা গোড়া চিকন”,তাই তাকে দিয়ে স্ত্রীকে সুখ দেওয়া সম্ভব হবে না। এটা নির্মম রসিকতা। এসব নিয়ে টেনশন না করে লাফ দিয়ে নেমে যান বিয়ে করতে। এত মানুষ দেখেন আশে পাশে সবাই কি ধোয়া-তুলসি পাতা? সবাই অনাঘ্রাতা বউই চায়৷ আর নিজে যদি অভিজ্ঞতাহীন হই, তবে একই আশা করবে নববধুর কাছ থেকে। সর্বোপরি কারও যদি সন্দেহপ্রবন মন থাকে, তবে সব কিছু ক্লিয়ার হয়ে নেওয়া উচিত আগেই। এনগেজমেন্ট বা বিয়ের আগেই মেয়ে সম্বন্ধে সব খোজ-খবর নিয়ে নিন। বিয়ের পর আর এসব নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। মনে রাখবেন, সন্দেহের পোকা একবার মনে ঢুকলে সেখানেই বাসা বেধে বসে যাবে। তাই আগে থেকেই সব ক্লিয়ার হোন। বিয়ের পর নো টেনশন আগের ব্যাপার নিয়ে। ভালবাসতে শুরু করুন যেভাবে পেয়েছেন সে অবস্থা থেকেই