স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী, সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে

স্বামী মালয়েশিয়া রাষ্ট্রে চাকরি করার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশী ৩ লম্পট এক গৃহবধূকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের বিষয় প্রকাশ না করার জন্য ভয়ভীতি প্রদান করার এক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুধু তাই নয়, ওই ধর্ষণের ঘটনায় গর্ভবতী হওয়া ভিকটিম দোলন খাতুন অবশেষে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে,সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রেশমবাড়ি গ্রামে।

গৃহবধূর স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাস জীবনে থাকার পরও গৃহবধূ দোলন খাতুন সন্তান প্রসব করায় প্রধানমন্ত্রীর নিকট তার সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবি জানিয়েছে ওই গৃহবধূ। গৃহবধু দোলন, তার পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রেশমবাড়ি গ্রামের মৃতঃ আফসার প্রামনিকের ছেলে ইউনুস আলীর সাথে একই উপজেলার বাড়াবিল গ্রামের মান্নান বিশ্বাসের মেয়ে দোলন খাতুনের ৯/১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে নীরব (৮) এবং হাবিব (৫) নামের দুটি পুত্র সন্তান আছে।

ইউনুস জীবিকার প্রয়োজনে প্রায় আড়াই বছর হলো মালয়েশিয়া রাষ্ট্রে চাকুরিতে গিয়েছে। ইউনুসের অনুপস্থিতির সুযোগে প্রতিবেশী লিটন মিয়া (২৩), পিতা- হাজী তয়জাল ফকির, ইয়াছিন (২৫), পিতা- মৃতঃ আফসার প্রামানিক, স্বপন ফকির (২৫), পিতা- মৃতঃ আব্দুর রহমান ফকির এই ৩ লম্পট মিলে গত বছর ২০১৮ সালের ৩০ শে আগস্ট বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে জোরপূর্বক নৌকায় তুলে পার্শবর্তী গ্রামে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে দোলন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে আবার ওই গভীর রাতেই বাড়ি পৌঁছে দেয় প্রতিবেশী ওই ৩ ধর্ষক। এ সময় ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য গৃহবধূকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায় ৩ লম্পট। একদিকে জীবননাশের হুমকি,

অপরদিকে স্বামী বিদেশ থাকা স্ত্রী হিসেবে লোকলজ্জার ভয় এই দুই বিবেচনায় প্রথম পর্যায়ে গৃহবধূ দোলন খাতুন বিষয়টি কাউকেই বললেও মাঝে মাঝেই ওই লম্পটরা নানা কু-কৌশলের জালে ফেলে আরও একাধিক বার দোলনকে ধর্ষণ করে।এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলেও দোলনের পিতার পরিবার ও স্বামীর পরিবার থেকে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক বিচার প্রার্থনা করা হলেও অসহায় পরিবারটি আজকাল এমন কালক্ষেপণে পড়ে কোন বিচারই পায়নি। এমতাবস্থায় বিচারের দাবি এবং বিয়ের দাবি নিয়ে দোলন খাতুন একাধিক বার প্রধান ধর্ষক লিটন মিয়ার বাড়িতে অবস্থান পর্যন্ত করেছে। কিন্তু ধর্ষকরা ও তার পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষিতা কোন বিচার পায়নি।