মাকে হত্যা করে লাশের পাশে মেয়েকে ধর্ষণ

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় প্রেমিকার মা নাসিমা আক্তার সাথীকে (৪০) গলা কেটে হত্যার পর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করেছে ঘাতক সাগর।

সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ঘাতক সামিউল ইসলাম সাগরকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে শোবার ঘর থেকে সাথীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সাথী দারিয়াপুর গ্রামের এমদাদুল হকের স্ত্রী এবং ঘাতক সামিউল ইসলাম সাগর উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের চকশ্যামরা গ্রামের জান মোহাম্মদের ছেলে।

নিহতের পরিবার থেকে জানা গেছে, সাথীর স্বামী এমদাদুল হক নাটোরে একটি খামারে নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন। বাড়িতে স্ত্রী নাসিমা আক্তার সাথী ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। মেয়ের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বেশ কিছুদিন থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।

প্রেমিকাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি ধারালো ছুরি নিয়ে সোমবার গভীর রাতে বাড়ির পেছনের দিক দিয়ে ছাদে উঠে অপেক্ষা করেছিল সাগর। পরে প্রেমিকার ঘরে গিয়ে দেখে প্রেমিকা নেই। প্রেমিকার মায়ের ঘরে গিয়ে দেখে মা ও মেয়ে ঘুমিয়ে আছে। জোর করে প্রেমিকাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে কথা বলার সময় দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।

এ সময় প্রেমিকার মা ঘুম থেকে জেগে উঠলে সাগর তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে প্রেমিকার মা অজ্ঞান হয়ে পড়লে জবাই করে হত্যা করা হয়। পরে মায়ের লাশ পাশে রেখে অস্ত্রের মুখে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে সাগর।

নিহতের স্বামী এমদাদুল হক বলেন, বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়ে থাকতো। সোমবার রাতে স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে মোবাইলে জানতে পারি। বাসায় এসে শুনি মাকে হত্যার পর মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এমন নির্মম ঘটনা আমি মানতে পারছি না। আমি ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে মান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাবাসাদে বিষয়টি স্বীকার করেছে সাগর। সকালে নিহতের মেয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘাতক সাগরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

ওসি মোজাফ্ফর হোসেন আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়। ধর্ষণের শিকার মেয়ের শারীরিক পরীক্ষার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী এমদাদুল হক বাদী হয়ে মামলা করেছেন।