কুকুরের সাথে শারীরিক সম্পর্ক চায় স্বামী, বিপাকে স্ত্রী!

পারস্পরিক বিশ্বাস আর ভালোবাসাই দাম্পত্যজীবনের মূল ভিত্তি। তবে কখনও কখনও স্বামী বা স্ত্রীর মানসিক বিকৃতির কারণে সেই ভিত্তি টলে যায়। ঠিক যেমনটা হয়েছে, এক ব্রিটিশ মহিলার সঙ্গে।

রেডিট সাইটে নিজের স্বামীর সমস্যা নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। কী সেই সমস্যা? মহিলার মতে, ‘স্বামী বাড়ির কুকুরের সঙ্গে সেক্স করতে চায়!’ স্পষ্ট প্রমাণ না থাকলেও, ধারণা থেকেই সন্দেহ এবং যার জেরে পরামর্শ চাইতে নেটদুনিয়ার দ্বারস্থ হয়েছেন জেনি (নাম পরিবর্তিত)।

২৯ বছরের যুবতী জানিয়েছেন, ‘আমার মনে হয় আমার স্বামী (৩২) বাড়ির কুকুরের সঙ্গে সেক্স করতে চায়।’ ৩ বছরের বিয়ের পর হঠাৎ এমন ধারণা কেন? স্বপক্ষে প্রমাণ দিয়েছেন জেনি।

সম্প্রতি নিজস্ব বাড়ি নিয়েছেন দম্পতি। জেনি যখন সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন, স্বামী লার্স (নাম পরিবর্তিত), কুকুর নিতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন। রীতিমতো জোরাজুরি করেই কুকুর মলিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন লার্স।

‘রাতে যখন আমরা সঙ্গমে ব্যস্ত থাকতাম, বহুবার মলিকে বেডরুমের ভিতরে দেখেছি। আপত্তি করলে ও বলত, পাত্তা দিতে না।’

জেনি জানান, ‘প্রতি রাতেই সেক্সের সময় বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে বাইরে যান লার্স। ফেরার সময়ই মলিকে সঙ্গে নিয়ে ফেরেন, এবং ইচ্ছা করেই মলি বেডরুমে ঢোকার পর দরজা বন্ধ করতেন। এমনকী আমাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের সময়ও ২ বছরের জার্মান শেপার্ড বিছনায় উঠে যেত।’

এই নিয়ে তীব্র আপত্তির জেরে পরে বিছানায় ওঠা বন্ধ করেন লার্স। তবে মলিকে একা ছাড়তে রাজি নয়, বলে বেডরুমে ঢোকা বন্ধ করেন না। এমনকী মজা করে একদিন স্ত্রীকে বলেন, ‘ভালো তো দুই স্ত্রী’র সঙ্গে একা আমি।’

এই সব কিছুর জেরে যখন মনে সন্দেহ বাড়ছে, তখন লার্সের ল্যাপটপে ফারি পর্ন অর্থাৎ, পশুদের ব্যবহার করে বানানো পর্নের অনেক ভিডিও দেখতে পান জেনি। তবে সব ভিডিয়োই অ্যানিমেশন চরিত্রের ছিল। যদিও পর্নে ব্যবহৃত কুকুরদের অধিকাংশই মলির মতোই জার্মান শেপার্ড ছিল।

এত কিছু নিয়েই নেটিজেনদের কাছে মহিলার প্রশ্ন, ‘আমার কী করা উচিত?’

রেডিট সাইটগুলিতে এই ধরনের প্রশ্ন নতুন নয়। তবে এক্ষেত্রে সঠিক উত্তর সেভাবে নজরে আসেনি। অনেকেই মহিলার অভিযোগকে ‘বাড়াবাড়ি’ বা ‘মিথ্যা’ তকমা দিয়েছেন। যদিও কেউ কেউ মহিলাকে বাড়িতে বেশি করে CCTV বসানোর বুদ্ধি দিয়েছেন। কেউ আবার দম্পতিকে মনোবিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর পরামর্শ দিয়েছেন।