এলার্জি ও অ্যাজমার কারণ আবিষ্কার করে দুনিয়াজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন বাংলাদেশী গবেষক ড. হায়দার আলী। তার গবেষণার ফল ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া (ইউপেন)’র গবেষণা জার্নালে ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।
এবার এই গবেষণার বিস্তারিত আগামী ২৫ থেকে ২৭ মে প্রাগে অনুষ্ঠিতব্য ‘ইউরোপিয়ান মাস্ট সেল এ্যান্ড বাসফিল রিসার্চ নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল মিটিং’-এ উপস্থাপন করবেন তিনি।
ড. হায়দার জানান, তিনি ইমিউন সিস্টেমের একটি ক্ষুদ্রাংশ ‘মাস্ট সেল’ আবিস্কার করেছেন। এই মাস্ট সেলই এলার্জি ও এ্যাজমার কারণ। এই সেল আবিষ্কারের ফলে দীর্ঘদিন ধরে জটিল এ রোগ নিয়ে যে শংকা মানুষের মধ্যে ছিল তার অবসান ঘটবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ড. হায়দার আলীর জন্ম সিলেটে। তবে শৈশবেই পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই লেখাপড়া শেষ করে পিএইচডি থিসিস এবং পোস্ট ডক্টরাল থিসিসও করেন লন্ডনে।
তার থিসিসের বিষয় ছিল ‘মাস্ট সেল।’ ১৯৯৮ সাল থেকেই তিনি এই সেল নিয়ে গবেষণা করে আসছেন।
চাকরি জীবনে ড. হায়দার আলী ইউপেনের প্যাথলজির প্রফেসর এবং ইউপেন স্কুল অব ডেন্টাল মেডিসিনের ফ্যাকাল্টি এডভান্সমেন্ট ও ডাইভার্সিটিরও পরিচালক।
মাস্ট সেল আবিষ্কারের পর নিজের মত জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, কোন জীবন্ত প্রাণীই মাস্ট সেল ছাড়া নেই। এজন্যেই এলার্জি কিংবা এ্যাজমা প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নিজে থেকে শরীরে তৈরী হতে পারে না।
উদঘাটিত মাস্ট সেলের মাধ্যমেই এখন আমাদের শরীরকে ইনফেকশন হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। যদিও এলার্জি এবং এ্যাজমার মত জটিল রোগের প্রধান কারণ আরো সুনিপুণভাবে উদঘাটনে আরো কাজ করতে হবে। তবেই এই জীবাণু চিরতরে বিনাশ করা যাবে।