গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ফুড পয়েজনিংয়ের অন্যতম কারণই হলো অপরিশোধিত পানি। এই কাঠফাটা গরমে রাস্তার পাশের শরবত, ফলের রস থেকেও ছড়াতে পারে অসুখ। এমনকি অনেকে বাড়িতেও অপরিশোধিত পানি পান করে থাকেন! আর তাতে খুব সহজেই দেখা দিতে পারে ফুড পয়জনিং।
চিকিৎসকদের মতে, রাস্তার অপরিশোধিত পানি থেকে ডায়ারিয়া, আমাশা নানা কিছু হতে পারে। পানির রোটা ভাইরাস থেকে হেপাটাইটিস বি-ও ছড়াতে পারে। সালমোনেলা সিগেলা ভাইরাস রক্ত আমাশয়ের অন্যতম কারণ। আর এগুলোই তপ্ত আবহাওয়াকে সঙ্গী করে খাবারের মাধ্যমে গরমে চুপিসারে ঢুকে পড়ছে শরীর। শুধু তাই নয়, আধুনিক গবেষণা বলছে, ফুড পয়েজনিং তো বটেই, হেপাটাইটিস এ ও ই-এর ক্ষেত্রেও বেশির ভাগ সময়েই অপরিশোধিত পানির ভূমিকা থাকে।
চিকিৎসকদের মতে, কিছু মূল নিয়মকানুন মেনে চললেই কিন্তু ফুড পয়জনিং এড়ানো সহজ হয়। জেনে নিন কীভাবে এড়াবেন এই ধরনের রোগের আশঙ্কা-
* বাড়ি থেকে নেয়া বিশুদ্ধ পানি সঙ্গে রাখুন। একান্তই তা রাস্তায় ফুরিয়ে গেলে নামী ব্র্যান্ডের মিনারেল ওয়াটার খান।
* রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে অবশ্যই মিনারেল ওয়াটার নিন। তাদের দেয়া সাধারণ পানি ভুলেও পান করবেন না।
* রাস্তা থেকে কিনে ফলের শরবত খাবেন না। বেশির ভাগ দোকানেই অপরিশুদ্ধ, দূষিত পানি দিয়ে বানানো হয়। তাই সচেতন থাকুন।
* পথের পাশের শরবতের বদলে ডাব খান। শরীরকে সুস্থ রাখতে ও বিষক্রিয়া রুখতে ডাবের পানি কাজে আসবে।
* বাড়িতে শিশু থাকলে বেশি সতর্ক থাকুন। শিশুকে ফোটানো পানি ছেঁকে খাওয়ান।
* শরীরকে ঠান্ডা রাখে এমন খাবার খান। ডিম, মাংস, তেল-মশলার রান্না গরমে হজমে সমস্যা করে। তাই খেয়াল রাখুন সেদিকে।
* বাড়ির ফিল্টার নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিষ্কার করুন। অনেকের বাড়িতেই ফিল্টার থাকে না। তারাও সচেতন হোন। সম্ভব হলে ফিল্টার ব্যবহার করুন। নয়তো পানি নির্দিষ্ট সময় ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খান।