১৮ বছরের ভাতিজার সাথে পরকীয়ায় ধরা পড়ল চাচী, দু’জনেরই আত্মহত্যা!

পরকীয়া ফাঁস হওয়ায় অসম বয়সী চাচী-ভাতিজা আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বগুড়ার শিবগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। অবৈধ প্রণয়লীলা কেউ মেনে নেবে না তাই সহমরণকেই সমাধান মনে করে একসাথে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে প্রাণ দিল চৈতী রানী (২৮) তার তরুণ প্রেমিক কনক চন্দ্র রায় (১৮)।

রবিবার মাঝ রাতে দুজনে এক সাথে তাদের বাড়ি সংলগ্ন পাটের ক্ষেতে গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে শুয়ে পড়ে। মুহুর্তেই গ্যাস ট্যাবলেট্রে প্রতিক্রিয়া শুরু হলে দুজনে ছটফট করতে থাকে। বুঝতে পেরে পাড়া প্রতিবেশিরা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতির মধ্যেই মারা যায় তারা।

চৈতী উপজেলার গাংনগর মাঝপাড়ার সুবন্ধু রায়ের স্ত্রী এবং কনক একই বাড়ির অমল চন্দ্র দাসের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচি এবং ভাতিজা। সুবন্ধু রায় কনকের বাবার আপন ছোট ভাই।এলাকাবাসী জানান, দুই সন্তানের জননী চৈতী রানীর স্বামী সুবন্ধু রায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। কনক-এর সাথে আত্মীয়তা সুত্রে চৈতী রানী অবৈধ প্রনয়লীলায় জড়িয়ে পড়ে। চৈতী রানী ও কনক দাসের মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবৎ এ সম্পর্ক চলে আসছিল।

তারা সম্পর্কে চাচি এবং ভাতিজা হওয়ায় শুরুর দিকে তাদের মেলামেশা প্রতিবেশীরা কেউ সন্দেহের চোখে দেখেনি। কয়েক দিন আগে দুজনের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হয়। আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে তারা।এরপর চৈতী রানীর গর্ভে জন্ম নেয়া দুই সন্তানও ভাতিজা কনকের বলে স্বীকার করে চৈতী। এ নিয়ে উভয়ের পরিবার থেকে তাদের শাসন করা হয়। পাড়া প্রতিবেশি ও আত্মীয় স্বজনরা তাদের বিভিন্ন সময় অপমান অপদস্ত করতে থাকে। রবিবার রাতে চৈতী রানী এবং কনক ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সোমবার সকালে বাড়িতে তাদের দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে বাড়ির অদূরে আখ ক্ষেতে দুজনের লাশ পাওয়া যায়।

শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, পরকীয়ার ঘটনা ফাঁস হওয়ার জের ধরে দু’জনে সহমরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইঁদুর নিধন ও পুকুরে ব্যবহার যোগ্য গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে এবং মারা যায়। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।